Popular Ropeway In India: রজ্জুপথের উপভোগ করুন প্রকৃতিকে, একনজরে দেখে নিন ‘রজ্জুপথে’ প্রকৃতি উপভোগের ৫ ঠিকানা

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Popular Ropeway In India: ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে শ্বেতশুভ্র পর্বতশৃঙ্গ, কিংবা পাইনের বন উপভোগ করার মজাই আলাদা। কিন্তু সেই একই দৃশ্য পাহাড়ের ওপর থেকে কেমন লাগবে? যারা বিমানে চড়েছেন তারা ভালোভাবেই জানেন ওপর থেকে পাহাড় দেখতে কেমন লাগে। হেলিকপ্টারে চড়লে সেই আনন্দ উপভোগ করা যায়। কিন্তু সেটা অনেক উপর থেকে খুঁটিনাটি জিনিস লক্ষ্য করা যায় না। পাহাড়, নদী, হ্রদের এমন স্পষ্ট ছবি একমাত্র দেখা যায় রোপওয়ে থেকে। পর্যটনের বিকাশের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রোপওয়ে তৈরি হয়েছে। পাহাড়ের উপরে অবস্থিত মন্দিরে যাওয়ার জন্যও অনেক জায়গায় এই রোপওয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। রোপওয়ে চড়ার শখ থাকলে চটজলদি দেখে নিন কোথায় পাবেন এই সুবিধা।

Advertisements
দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ

দার্জিলিঙের রোপওয়েতে (Popular Ropeway In India) বসার মজাই আলাদা। এখান থেকে খুব সহজেই আপনি উপভোগ করতে পারবেন চা-বাগান, উপত্যকার সৌন্দর্য ইত্যাদি জিনিস। সিঙামারি থেকে রোপওয়ে যায় তুকভর চা-বাগান হয়ে সিংলা বাজার। এক দিকের যাত্রাপথে মিনিট ২০-২৫ সময় লাগে। ঘন্টাখানেক সময় লাগবে যাতায়াত করতে। রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে চা-বাগান, পাহাড়ি পাকদণ্ডী, সবুজ পাহাড়— সব মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে যেন মনে হবে কোন ক্যানভাস। দার্জিলিং রোপওয়ে চেপে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা স্মরণীয় হলেও, রোপওয়েতে যেতে পর্যটকদের দীর্ঘ লাইনের সম্মুখীন হতে হয়। ফলে দিনের বেশির ভাগটাই কেটে যায় এখানে।

Advertisements
গুলমার্গ, জম্মু এবং কাশ্মীর

কাশ্মীরের গুলমার্গের রোপওয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। ১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় তৈরি গুলমার্গের গন্ডোলা এশিয়ার অন্যতম উচ্চ রোপওয়ে (Popular Ropeway In India) । এতে ওপরে উঠতে হয় দুটি ধাপে। এগুলি হলো ফেজ ১ এবং ২। ফেজ ১-এ পৌঁছনো যায় কংডোরিতে। পরের ফেজে কংডোরি থেকে আফরাওয়াত। শীতের মরসুমে যেমন বরফের সাম্রাজ্য চোখে পড়ে, বসন্তকালে গেলে দেখতে পাবেন সবুজের সমারোহ। মরসুমভেদে রূপও পাল্টে যায়। প্রথম ফেজে পৌঁছতে মিনিট ১০-১৫ সময় লাগে। ১ থেকে ২ নম্বর ফেজে পৌঁছতেও তা-ই।

Advertisements
গ্যাংটক, সিকিম

সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক শহরেই রয়েছে রোপওয়ে। যাত্রাপথ দীর্ঘ নয়, মাত্র ১ কিলোমিটার। যদি আকাশ পরিচ্ছন্ন থাকে তাহলে মেঘ-কুয়াশার চাদর সরিয়ে আরামেই করতে পারবেন রোপওয়ের যাত্রা। আপনার স্মৃতির পাতায় আজীবন থেকে যেতে পারে এই স্মৃতি। পড়ন্ত বিকেল, সূর্যাস্ত, ব্যস্ত শহর কোনোটাই চোখ এড়িয়ে যায়না। গ্যাংটকের এমজি মার্গে দেওরালি মার্কেট থেকে শুরু হয় রোপওয়ে যাত্রা, শেষ হয় তাসিলিঙে। যাত্রাপথে সময় লাগে ১৫-২০ মিনিট।

আরও পড়ুন: বন্দে ভারতের আনন্দ উপভোগ করুন কাটরা-শ্রীনগর রুটে, কবে থেকে চালু হবে?

ব্রহ্মপুত্র, গুয়াহাটি

রোপওয়েতে (Popular Ropeway In India) চেপে খুব সহজেই ব্রহ্মপুত্র নদের উপর ১৮২০ মিটার পথ পাড়ি দিতে পারবেন। জলের সৌন্দর্য ভালোভাবেই আপনি উপভোগ করতে পারবেন রোপওয়ে থেকে। রোপওয়ে থেকে পাহাড় দেখার অনুভূতি এক রকম, নদনদী দেখার অভিজ্ঞতা একেবারে আলাদা। গুয়াহাটি থেকে উত্তর গুয়াহাটি পর্যন্ত যাওয়া যায় পৌঁছনো যায় ৮ মিনিটে। পানবাজার থেকে রাজদ্বার গ্রামে, ঢোলগোবিন্দ মন্দিরের কাছ পর্যন্ত রোপওয়েতে যাওয়া যায়।

আউলি, উত্তরাখণ্ড

রজ্জুপথের যাত্রার অন্যতম অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবেন যোশীমঠ-আউলি রোপওয়েতে (Popular Ropeway In India) । আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০১০ মিটার উচ্চতায় তৈরি রোপওয়ের জনপ্রিয়তা অনেকটাই বেশি। সারা বছরই এখানে পর্যটকদের ভিড় থাকে তবে শীতের মরসুমেই কদর বাড়ে আউলির। জমাটি ঠান্ডায় জমে বরফ হয়ে যায় চারপাশ। একমাত্র রোপওয়ে দিয়েই অতিক্রম করা যাবে সাড়ে চার কিলোমিটার পথ। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি বরফ ঢাকা আউলির রূপ যদি উপভোগ করতে চান এবং স্কি করা-সহ রকমারি অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস করতে চান তাহলে অবশ্যই আসবেন এখানে। এই জায়গার টানে ভিড় জমায় দেশ-বিদেশের অতিথিরা। রোপওয়ে চড়ে উপরে উঠতে সময় লাগে ২৫ মিনিট। উপরে ওঠা এবং নামা মিলিয়ে ১ ঘণ্টার যাত্রাপথ।

Advertisements