Paushi: দীঘা, দার্জিলিং, পুরি অনেক হল! এবার টুক ঘুরে আসুন হাতের কাছে থাকা এই শান্তির গ্রামে

Antara Nag

Published on:

Advertisements

Take a tour of Paushi, a peaceful village closer at Kolkata: বাঙালি যেমন খাদ্য রশিক তেমনি ভ্রমণ প্রিয়ও বটে। সুযোগ পেলেই এদিক ওদিক ঘুরতে যেতে ভালোবাসে বাঙালি। আর হাতের কাছে তো রয়েছেই বাঙ্গালির প্রিয় জায়গা দি-পু-দা। অর্থাৎ দিঘা, পুরি আর দার্জিলিং। এই পরিচিত জায়গা গুলি ছেড়ে এবার বেরিয়ে পড়তে পারেন একটু অচেনার খোঁজে। আপনার হাতের কাছেই রয়েছে সেই জায়গা। একটু নিরিবিলিতে গ্রাম্য পরিবেশ উপভোগ করতে চাইলেই চলে যেতে পারেন এই গ্রামে। ২-১ টা দিন কাটিয়ে আসলে সময়টা মন্দ যাবে না।

Advertisements

কারো পছন্দ পাহাড়, তো কারো সমুদ্র, কারো জঙ্গল। কিন্তু এই সব কিছুর বাইরেও কিন্তু উপভোগ করার মত একাধিক জায়গা রয়েছে। প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবন, শহরের হইহল্লা, কংক্রিটের দেওয়াল সবকিছু ছাড়িয়ে কয়েকটা দিন গ্রাম্য পরিবেশে নিরিবিলিতে কাটিয়ে আসতে পারলে আপনার ভালই লাগবে। আর আপনার হাতের কাছেই রয়েছে ঠিক এমনই একটা এলাকা। এই গ্রামে যাওয়া যেমন সহজ তেমনই মনোরম এখানকার পরিবেশ।

Advertisements

আপনি যদি গ্রাম্য পরিবেশের মাধুর্য উপভোগ করতে চান, তাহলে অবশ্যই যেতে হবে পূর্ব মেদিনীপুরের পাউশি গ্রামে (Paushi)। না এখানে অতিরঞ্জিত কিছু নেই। একেবারেই গ্রাম্য এলাকা বলতে যা বোঝায় এটা তাই। ধান ক্ষেত, পুকুর ভরা মাছ, সবুজ ঘেরা প্রকৃতি, বাগদা নদীর তীরে অবস্থিত পাউশি গ্রামের সহজ সরল গ্রাম্য জীবনযাত্রা আপনাকে আকর্ষণ করবেই। পাউশি গ্রামে রয়েছে একটি সংগ্রহশালা। যেখানে প্রাচীন কাল থেকে চলে আসা গ্রামীণ জীবনযাত্রা তুলে ধরা হয়েছে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। এই সংগ্রহশালায় গেলে আপনি দেখতে পাবেন গরুর গাড়ি, ঢেঁকি, লাঙ্গল, চরকা, তাঁত, কুমোরের চাকি। এমনকি হুক্কাও রয়েছে এই সংগ্রহশালার সংগ্রহে। কুমোর পাড়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে আপনি ঘুরে আসতে পারেন পাউশি গ্রামের কুমোর পাড়া থেকেও। সেখানে যানবাহন বলতে ব্যবহার করতে পারেন ভ্যান।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Low-Cost Hill Station: খরচ মাত্র ১২০০ টাকা! দার্জিলিং থেকে সামান্য দূরে রয়েছে দার্জিলিংয়ের থেকেও এক সুন্দর জায়গা

এই গ্রামে যাওয়াও কিন্তু খুবই সহজ। কলকাতা থেকে বাসে বা নিজস্ব গাড়িতে করে বোম্বে হাইরোড ধরে কোলাঘাট। কোলাঘাট থেকে একটু এগোলেই হলদিয়া মোড়। এরপর সেখান থেকে পেরোতে হবে নন্দকুমার, মঠচন্ডিপুর, হেড়িয়া, রসুলপুর প্রভৃতি এলাকাগুলি। নদীর উপর তৈরি করা সেতু পেরিয়ে পৌঁছে যাবেন কালিনগর বাস স্ট্যান্ড। সেখান থেকে পাউশি গ্রামের (Paushi) দূরত্ব মাত্র ৬ কিলোমিটার। ভ্যান রিক্সায় গ্রামের মেঠো পথ ধরে পৌঁছে যেতে পারবেন পাউশি গ্রামে। আপনি যদি ট্রেনে করে যেতে চান তাহলে তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস, দুরন্ত এক্সপ্রেস, অথবা কান্ডারী এক্সপ্রেসে করে নামতে হবে কাঁথি স্টেশন। সেখান থেকে পাউশি গ্রামের দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার।

গ্রামে পৌঁছে তো গেলেন। কিন্তু থাকবেন কোথায়? কোন চিন্তা নেই। এই নিরিবিলি গ্রামটিতে পর্যটকদের জন্য রয়েছে থাকার ব্যবস্থা। এখানে রয়েছে মনচাষা রিসর্ট। নদীর তীরে অবস্থিত এই রিসর্টে বাঁশ, খড় আর হোগলা পাতা দিয়ে তৈরি কটেজগুলো আপনার ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে। এছাড়াও কটেজগুলিতে রয়েছে সব রকম অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা। কালিনগর কিংবা কাঁথি থেকে রিসর্ট অব্দি পিকআপেরও ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। এখানে থাকার খরচ জানতে হলে ফোন করে জেনে নিতে পারেন। ফোন নম্বর গুগলে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। তাহলে আর দেরি কেন? নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ২ টো দিন নিশ্চিন্তে কাটিয়ে আসুন এই শান্তির ঠিকানা পাউশি গ্রাম (Paushi) থেকে।

Advertisements