Tallest tree in world: এটিই হল বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা গাছ, যা হার মানাবে কুতুব মিনার, স্ট্যাচু অফ লিবার্টিকেও!

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

The tallest tree in the world, which will rival the tallest towers also: পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। গাছ ছাড়া মানব সমাজ বেঁচে থাকতে পারবেনা। গাছ পরিবেশ থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নসুসে, ফিরিয়ে দেয় অক্সিজেন। প্রাণীকূলের উন্নত জীবনের জন্যও গাছের অবদান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গাছের উপর নির্ভর করেই মানবসমাজ বেঁচে আছে। তবে এই পৃথিবীর সমস্ত গাছ গুলির মধ্যে একটি গাছ এমন আছে যে সবার থেকে বেশি লম্বা (Tallest tree in world)। অনেকেই হয়তো জানেন না যে বিশ্বের সবথেকে উঁচু গাছ কোনটি বা তার উচ্চতা কত?

Advertisements

কিম্বা আপনি কি জানেন বিশ্বের সব থেকে উঁচু (Tallest tree in world) সেই গাছটি কোথায় অবস্থিত? গাছটি বর্তমানে রয়েছে উত্তর আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়াতে। গাছটির উচ্চতা প্রায় ১১৫.৮৫ মিটার। জানলে অবাক হবেন এর সামনে কুতুবমিনার এবং স্ট্যাচু অফ লিবার্টিও কিন্তু একেবারে ছোট। ভাববেন এত উচুঁ গাছ কি আদৌ আছে? হ্যাঁ একেবারে সত্যি ঘটনা এটি।

Advertisements

এই উঁচু গাছটির নাম হলো হাইপরিয়ন, এটি কোস্ট রেডউড। এটি ২০০৬ সালে প্রথমে নজরে আসে। এত উচ্চতার কারণে এই গাছটি বিশ্ব রেকর্ড করেছে। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু (Tallest tree in world) গাছ হিসেবে পরিচিত। ক্যালিফোর্নিয়ার ন্যাশনাল পার্কে গেলে এই গাছটি আপনি দেখতে পাবেন অনেক দূর থেকেও। ক্যালিফোর্নিয়ার জাতীয় উদ্যানের কর্মীদের বক্তব্য হল, যদি কোন ব্যক্তিকে গাছটির আশপাশ দিয়ে হাঁটাচলা করতে দেখা যায় তাহলে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং জেল পর্যন্ত হতে পারে।

Advertisements

তবে গ্রীষ্মকালে প্রখর গরমে যদি আপনি এই গাছের নীচে দাঁড়িয়ে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে সেখানকার তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। এছাড়াও এই ধরনের গাছ (Tallest tree in world) প্রতি বছর প্রায় এক লক্ষ বর্গমিটার দূষিত বাতাসকে ফিল্টার করতে সাহায্য করে। এই গাছটি বছরে প্রায় ২০ টন কার্বন ডাই অক্সাইড এবং ২০ কেজি ধূলিকণা শোষণ করে। গাছটি প্রতি বছর প্রায় ৭০০ কেজি অক্সিজেন গ্যাসও তৈরি করে।

কিন্তু এ হেন গাছের এই নামকরণ কোথা থেকে করা হয়েছে? গ্রিক পুরান থেকে গাছের কোস্ট রেডউড নামটি নেওয়া হয়েছে। জানলে অবাক হবেন কাজটি মূল অত্যন্ত গভীর এবং এর কোনও শাখা-প্রশাখা পর্যন্ত নেই। এই গাছটি এক দম্পতি ২০০৬ সালে প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন।

Advertisements