নিজস্ব প্রতিবেদন : সৃষ্টি দত্ত আর শ্রেয়া দত্ত ওরফে তানি আর মুনি ছয় বছর বয়সেই নিজেদের প্রতিভার জেরে তারকা খ্যাতি লাভ করেছে। মধ্যমগ্রামের দোলতলার সৃজন মিডল্যান্ড আবাসনে তারা থাকে বাবা ও মায়ের (দেবাশীষ দত্ত ও তৃপ্তি দত্ত) সাথে। বাবাই তাদের সংগীত শিক্ষক। বাবার কাছ থেকে একটার পর একটা গান শিখে দুই বোন আবাসনের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে পৌঁছে গেছে টেলিভিশনের পর্দায়।
গতবছর নিজেদের আবাসনের দুর্গাপুজোয় প্রথম গান গায় তারা। এরপর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে আকাশ আট চ্যানেল, দূরদর্শন থেকে শুরু করে উত্তর আমেরিকার একটি টিভি চ্যানেল সব জায়গাতেই দুই বোন দর্শকদের মাতিয়ে দিয়েছে গানের জাদুতে। সবথেকে বিস্ময়কর ব্যাপার এই অল্প বয়সেই তারা গানের প্রত্যেকটি ধারায় অসাধারণত্ব অর্জন করেছে। দেশাত্মবোধক গান থেকে শুরু করে বলিউডের হিন্দি গান, রবীন্দ্র সংগীত থেকে শুরু করে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান সব ধারার গানেই তারা সাবলীল। তাদের দ্বৈত কন্ঠে গাওয়া গান ‘তারে বলে দিও’ দূরদর্শনে টেলিকাস্ট হয় ‘শতবর্ষে হেমন্ত’ অনুষ্ঠানে।
সম্প্রতি তানিমুনির স্টুডিও রেকর্ডিং হলো। এইবছর মহালয়াতেই দেবী পক্ষে তাদের স্টুডিও রেকর্ডিং প্রথম গান আসতে চলেছে। প্রথম স্টুডিও রেকর্ড প্রসঙ্গে তানিমুনিকে জিজ্ঞেস করা হলে, তানিমুনি জানায়-আমরা খুব খুশি।
আর তাদের বাবা দেবাশীষ বাবু জানান, “আমি নিজে একজন গায়ক হতে চেয়েছিলাম কিন্তু হতে পারিনি। পরিস্থিতির চাপে, আজ নিজের মেয়েদের এই জায়গায় দেখে তার ভালো লাগছে। কারণ তার না পাওয়া জায়গাটা তার মেয়েরা পূরণ করেছে।”
তাদের বাবা একইসাথে সেই ফেসবুক পেজটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যারা ওদের প্রথম গান ‘আজ মন চেয়েছে’ ভাইরাল করেছিল। সেইসঙ্গে দেবাশিসবাবু আরও বলেন যে, “আজ আমি মেয়ের পেজে লিখতে পারবো যে ওরা প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে গান গাইলো।”
তানি মুনির মাও মেয়েদের এই সাফল্যে খুশি। তিনি জানিয়েছেন, “ওদের গানের জগতের এই প্রথম পথ চলা শুরু। এর আগে ওরা সোশ্যাল মিডিয়ায় গেয়েছে, টেলিভিশনে গিয়েছে কিন্তু এই প্রথম ওদের গান রেকর্ডিং হচ্ছে। এটা খুব বড় একটা পাওনা।”
দেবাশিস বাবু আরও একটি কথা বলেন, “তানিমুনি সম্পর্কে আমি দর্শকদের একটা কথাই বলতে চাইব, গান গেয়ে ওরা যতক্ষণ না নিজেরা সন্তুষ্টি পায় ততক্ষণ পর্যন্ত গানটা গেয়েই যায়, আর গানে কোন ভুল হলে কান্নাকাটিও শুরু করে দেয়।”
তবে গানটি কি তা আপাতত সাসপেন্সেই থাকলো। তাদের বক্তব্য, তানিমুনি সম্পূর্ণ নতুন একটি গান গাইতে চলেছে যা আগে কেউ শোনেননি।”