নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের এক কোনা থেকে অন্য কোনা, রাজ্যের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা, জেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত যাওয়ার ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষই এখন রেল পরিষেবার ওপর ভর করে যাতায়াত করেন। রেল পরিষেবার উপর ভর করে যাতায়াত করার মূল কারণ হলো স্বাচ্ছন্দ্য এবং কম খরচ। যে কারণেই ভারতীয় রেল (Indian Railways) দিন দিন গণপরিবহনের মেরুদণ্ড হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
দেশের মানুষদের রেল পরিষেবার ওপর দিন দিন যত ভরসা বাড়ছে ঠিক সেইরকমই রেলের তরফ থেকেও পরিষেবা আরও উন্নত থেকে উন্নততর করা হচ্ছে। রেলের তরফ থেকে এখন পরিষেবার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন রুটে গতি বৃদ্ধি করার কাজ চালানো হচ্ছে। এবার এই সকল রুটের তালিকায় নাম উঠলো তারকেশ্বর রুট। তারকেশ্বর রুটে ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটবে ট্রেন।
তারকেশ্বর রুটে ট্রেনের গতিবেগ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই যাত্রা পথের সময় অনেক কমে যাবে। ইতিমধ্যেই ট্রেনের গতি বৃদ্ধির ট্রায়াল রান বুধবার সফল হয়েছে বলে জানা গিয়েছে পূর্ব রেল সূত্রে। শেওড়াফুলি আরামবাগ লাইনে এখন লোকাল ট্রেন ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার গতি বেগে দৌড়ায়। এই রুটে এবার লোকাল ট্রেন সর্বোচ্চ ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটবে।
আরও পড়ুন ? Indian Railways Fog Pass: ঘন কুয়াশাতেও থমকে থাকবে না ট্রেন! বড় উদ্যোগ রেলের
বুধবার ট্রায়াল রান চালানোর সময় সর্বোচ্চ গতিবেগ উঠেছিল ঘন্টায় ১২৫ কিলোমিটার। অন্যদিকে গড় গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার। এক্ষেত্রে এখন প্রশ্ন, শেওড়াফুলি-আরামবাগ রুটে ১৫টি রেলস্টেশন পাড়ি দিতে কত সময় নেবে লোকাল ট্রেন। এখন যে গতিতে লোকাল ট্রেন যাতায়াত করে তাতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লাগে। ট্রেনের গতিবেগ বৃদ্ধি করার পর কি সময় কমে যাবে?
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার তারকেশ্বর থেকে চার কামরার একটি ট্রেন দুপুর দুটো নাগাদ পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়। সেটি শেওড়াফুলি পৌঁছায় দুপুর ২:২৭ মিনিটে। হিসেব অনুযায়ী তারকেশ্বর থেকে শেওড়াফুলি পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার পথ যেতে সময় নেয় মাত্র ২৭ মিনিট। এই গতির হিসেব অনুযায়ী আরামবাগ থেকে শেওড়াফুলি পর্যন্ত ১৫টি স্টেশন পাড়ি দিতে গতি বৃদ্ধির পর ট্রেনের সময় লাগবে এক ঘন্টার কম। সেক্ষেত্রে নতুন গতিতে ট্রেন ছুটতে শুরু করলে অনেকটাই সময় বাঁচবে যাত্রীদের।