নিজস্ব প্রতিবেদন : বাবা মা মানলো না অর্থাৎ পরিবারের সম্মতি নেই, এমন ঘটনা ঘটলেই যুগলদের বাড়ি থেকে পালিয়ে কোন মন্দির অথবা কোথাও বিয়ে (Marriage) সারতে দেখা যায়। বিয়ে করার জন্য যে সকল মন্দিরকে বেছে নেওয়া হয় তার মধ্যে জনপ্রিয় একটি মন্দির হল তারাপীঠ (Tarapith)। এতদিন বহু জায়গা থেকেই যুগলরা পালিয়ে তারাপীঠে নিশ্চিন্তে নিজেদের বিয়ে সেরে ফেলতেন। কিন্তু এবার এখানেও নিয়মে বদল (Tarapith Temple Marriage Rules Changed) আনা হলো।
বিভিন্ন জায়গা থেকে যুগলরা পালিয়ে এসে তারাপীঠ মন্দিরে বিয়ে করার পরিপ্রেক্ষিতে নানান সময় নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে দেখা গিয়েছে। এই সকল সমস্যার সম্মুখীন যাতে না হতে হয় তার জন্যই তারাপীঠ মন্দির কমিটির তরফ থেকে তারাপীঠ মন্দিরে বিয়ে করার ক্ষেত্রে একগুচ্ছ বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে এখন যারা তারাপীঠ মন্দিরে বিয়ে করতে চান তাদের মন্দির কমিটির তরফ থেকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া সব নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে।
তারাপীঠ মন্দিরে বিয়ে করার ক্ষেত্রে গেলাম বিয়ে করে ফেললাম এসব আর চলবে না। বিয়ে করার আগে পাত্র এবং পাত্রী, উভয়ের পরিচয় পত্র দেখাতে হবে। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি যে নিয়মাবলী রয়েছে সেই নিয়মাবলী অনুযায়ী পরিচয় পত্র দেখানোর বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে শুধু পরিচয় পত্র দেখিয়েই শান্তিতে বিয়ে সেরে ফেলবেন এমনটাও নয়। এরপরে যে নিয়মগুলির কথা বলা হবে সেগুলি শুনলে অনেকেই প্ল্যান বদলাতে পারেন।
যুগলদের পরিচয়পত্র দেখার পর বিয়ের আগে তাদের উভয়ের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। আসলে উভয় পক্ষের পরিবারকে খবর দেওয়ার জন্যই এমনটা করা হবে। এর মধ্যে আবার যদি যুগলরা নাবালক নাবালিকা হয়ে থাকেন তাহলে তো বিয়ে নিয়ে কোন কথায় হবে না। এমন ঘটনা ধরা পড়লে আবার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হবে এবং পুলিশ এসে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তারাপীঠ মন্দির কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা এই নিয়ম গত দু-তিন বছর ধরেই চালু রেখেছেন। এই নিয়ম চালু রাখা হয়েছে মূলত সরকারি নিয়মাবলী মেনে চলার জন্য এবং যাতে যুগলদের নতুন অধ্যায় শুরু হওয়ার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা না হয় ও তারা ভবিষ্যতে সুখে শান্তিতে থাকতে পারেন। মন্দির কমিটির এই সকল নিয়মাবলী বিয়ের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি মনে হলেও তা কিন্তু নব দম্পতিদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।