ভারতের বিমান পরিষেবা বাজারে টাটা (TATA Group) একটি বৃহৎ নাম। জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারী মাসে টাটা এভিয়েশন সেক্টরে (Aviation Sector) একটি ঐতিহাসিক পরিবর্তনের কথা চিন্তা করে। আর তার পরেই জানা যায়, এয়ারবাস টাটা অ্যডভান্স সিস্টেমকে কার্গো বিমানের দরজা (Cargo Plane door) তৈরি করার বড় অর্ডার দিয়েছে।
২০২১ সালে এয়ার ইন্ডিয়াকে পুনরায় কিনে নেয় টাটা গোষ্ঠী। তারপরই উড়ান সংস্থায় আমুল পরিবর্তন আনা হয়। বিগত এক বছরে ভিস্তারা (Vistara) ও এয়ার ইন্ডিয়াকেও (Air India) কিনে নিয়েছে টাটা গোষ্ঠী (TATA Group), বর্তমানে এই সংস্থার বিমানগুলি এয়ার ইন্ডিয়ার অধীনে রয়েছে। নতুন চুক্তি যদি সাক্ষরিত হয়, তবে বিশ্বের অন্যতম উড়ান সংস্থা হয়ে উঠবে টাটা গোষ্ঠীর এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)।
সূত্রের খবর, বোয়িং ও এয়ারবাসের সঙ্গে বিশেষ চুক্তি করতে চলেছে টাটা গোষ্ঠী (TATA Group)। বড়, মাঝারি ও ছোট মাপের বিমান তৈরির জন্যই এই দুই সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছে টাটা গোষ্ঠী। কয়েকশো বিলিয়ন ডলারের এই চুক্তির বিনিময়ে শতাধিক নতুন বিমান টাটা গোষ্ঠীর হাতে আসবে বলে জানা গিয়েছে।
বর্তমানে ভারতের বিমান বাজার দখল করার ব্যপক প্রচেষ্ঠা করছে বিমান পরিষেবা সংস্থাগুলি। এই বছর ফেব্রুয়ারী মাসে টাটা এভিয়েশন সেক্টরে একটি ঐতিহাসিক অর্ডার দেয়। যার মধ্যে ২৫০ টি এয়ারবাস বিমান এবং ২১০ টি A ৩২০ নিওস ছিল। গুজরাট রাজ্যের আইএএফ-এর পরিবহন বিমান তৈরির জন্য এয়ারবাস এবং টাটা ২২,০০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করার কয়েক মাস পরে এই বড় ঘোষণাটি আসে।
এখন বিমান খাতেরই একটি বড় খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে যে এয়ারবাস (Airbus) টাটা অ্যডভান্স সিস্টেম (Tata Advance System) কে একটি বড় অর্ডার দিয়েছে। এয়ারবাস টাটা অ্যডভান্স সিস্টেমকে কার্গো বিমানের দরজা তৈরি করার বড় অর্ডার দিয়েছে।
জানা গেছে যে, এয়ারবাস ৩২০ নিওস-এর জন্য দরজা তৈরি হবে হায়দরাবাদে টাটার কারখানায়। এই দরজাগুলিই টাটা এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) জন্য অর্ডার করা বিমানগুলিতে ব্যবহার হতে চলেছে। এই দরজাগুলি রোবোটিক্স এবং অটোমেশন ব্যবহার করে হায়দ্রাবাদের একটি কারখানায় তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়াও, টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস দ্বারা প্রতিটি বিমানের অংশ হিসাবে দুটি কার্গো দরজা এবং একটি বাল্ক কার্গো দরজা সরবরাহ করা হবে। একক-আইল বিমানের জায়গায় এয়ারবাসের প্রতিযোগিতামূলক প্রান্ত ছাড়াও, চুক্তিটি ভারতের মহাকাশ খাতে অভিঞ্জতা অনেক বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।