Tata Sons Chairman: রতন টাটার মৃত্যুর পর বড় সিদ্ধান্ত নিলেন টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Tata Sons Chairman: চলতি বছরেই মৃত্যু হয়েছে টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রতন টাটার। তিনি শুধুমাত্র একজন শিল্পপতি ছিলেন না, ছিলেন একজন উদ্যোগপতি। সমাজের বিভিন্ন স্তরে তার অবদান অনস্বীকার্য। কোম্পানিকে শুধুমাত্র দেশের নয় গোটা বিশ্বের কাছে উপস্থাপিত করেছে রতন টাটা। তার মৃত্যুর পরে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন নতুন কি সিদ্ধান্ত নিলেন এই ব্যবসা সম্পর্কে? দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক বাজারে অনিশ্চয়তা থাকলেও কোম্পানিকে বুদ্ধি এবং কৌশল দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, এমনই বার্তা দিলেন টাটা সন্স এর চেয়ারম্যান। যদি ব্যবসাটি উচ্চতার শিখরে পৌঁছে দিয়ে যাওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা না থাকে তাহলে কখনোই উন্নতি সম্ভব নয়। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লাভের হিসাবের উপরে জোর দিয়েছেন তিনি। কোন কাজেই বিলম্ব করা তিনি পছন্দ করেন না বরং বুদ্ধি খাটিয়ে যেকোনো সমস্যার সমাধান করে উন্নতি করার পক্ষপাতি তিনি।

Advertisements

চন্দ্রশেখরেন (Tata Sons Chairman) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, টাটা গ্রুপ হলো ভবিষ্যতের কান্ডারী। তাদের বিভিন্ন রকমের উদ্ভাবনী কৌশলের দ্বারা দেশীয় বাণিজ্য থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করেছে এই কোম্পানি। অক্টোবরে একটি ইভেন্টে বক্তৃতা করার সময়, তিনি কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং শিল্প উন্নয়নের জন্য উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার রূপরেখা পেশ করেছেন সকলের সামনে। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, টাটা কোম্পানি সর্বদাই সেমিকন্ডাক্টর, নির্ভুল উৎপাদন, সমাবেশ, বৈদ্যুতিক যান (ইভি), ব্যাটারি এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পে বিনিয়োগের লক্ষ্যপূরণ করার চেষ্টা করছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করার প্রচেষ্টায় রয়েছে এই কোম্পানি।

Advertisements

আরো পড়ুন: এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক অবশেষে বিশেষ প্রকল্প শুরু করল, সুবিধা নিতে আসুন নিকটবর্তী শাখায়

শুধুমাত্র নিজেদের ব্যবসায়ে নয় অন্যান্য বিভিন্ন স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোতেও বিনিয়োগ করতো রতন টাটা। পরিবর্তনশীল যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একাধিক ব্যবসায় বিনিয়োগ করার পক্ষপাতি এই কোম্পানি। সেমিকন্ডাক্টর ছাড়াও, গ্রুপটি বৈদ্যুতিক যানবাহন, সবুজ শক্তি এবং নির্ভুল উৎপাদনে যথেষ্ট অগ্রগতি এনেছে। এই কোম্পানির লক্ষ্য একেবারে পরিষ্কার, টাটাকে বিশ্বব্যাপী উচ্চ-প্রযুক্তি উৎপাদন ল্যান্ডস্কেপে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রতিষ্ঠা করা। যার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন টাটা সন্সের চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখরেন।

Advertisements

আরো পড়ুন: চলতি বছরের শেষেই দেশে চালু হতে চলেছে অ্যামাজনের ক্যুইক কমার্স সার্ভিস

চন্দ্রশেখরনের অবদানে (Tata Sons Chairman) টাটা গ্রুপের গতিপথ আবার পুনঃনির্মিত হয়েছে। এই ব্যক্তিটির অবদান কোম্পানির উন্নতির ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তিনি প্রথম টাটা গ্রুপে ১৯৮৭ সালে গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি হিসেবে যোগদান করেছিলেন। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (TCS) এর সিইও হওয়া তার চাকরি জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য যাত্রাপথ। তিনি সর্বদা চেষ্টা করেছেন যুগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কোম্পানির উন্নতি সাধন করতে।

রতন টাটা যখন সাইরাস মিস্ত্রির হাতে কোম্পানির দায়ভার তুলে দিয়েছিলেন তখন একাধিক দিক থেকে নানাপ্রকার সংকটের সম্মুখীন হয়েছিল এই কোম্পানি। সংকটের পরে ২০১৭ সালে রতন টাটা যখন চন্দ্রশেখরনকে (Tata Sons Chairman) টাটা সন্সের চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন, তখন এই পদক্ষেপটিকে অনিশ্চয়তার সময়কালে একটি স্থিতিশীল শক্তি হিসাবে দেখা হয়েছিল। যারা শিল্পের পর্যবেক্ষক এবং বিনিয়োগকারী তারা দেখতে চেয়েছিলেন তিনি কতটা দক্ষ। দীর্ঘ এই যাত্রা পেরিয়ে ২০২৪ সালে নিজেকে প্রমাণ করেছেন চন্দ্রশেখরন, তিনি শুধুমাত্র এই কোম্পানিটিকে স্থিতিশীল করেনি বরং এক নতুন উদ্যমের সঙ্গে এক অধ্যায়ের সূচনা করেছেন।

Advertisements