নিজস্ব প্রতিবেদন : গরম কাকে বলে তা এই বছর হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন দেশের মানুষেরা। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে টানা তাপপ্রবাহ চলার পাশাপাশি দিল্লি সহ বিভিন্ন জায়গাতেও দিন দিন বেড়ে চলেছে তাপমাত্রার পারদ। আর এই গরমে দেশের বহু প্রান্তে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। চলতি বছর এই গরম থেকে রক্ষা পেতে বাড়ি বাড়ি এসি (AC) কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছে।
চলতি বছর দেশের অধিকাংশ ব্যবসায়ীরাই এসি বিক্রি করেছেন অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। তবে দেশের বহু মানুষ রয়েছেন যাদের কাছে এই বাতানুকূল যন্ত্র এখনো স্বপ্ন। এর পিছনে প্রথম কারণ হলো দাম এবং দ্বিতীয় কারণ হলো বিদ্যুৎ বিল। আর এই দুটি থেকেই এবার দেশের মানুষদের সুবিধা দিতে রতন টাটার সংস্থার এসি ভোল্টাস (Tata Voltas AC) বিভিন্ন অফার ফিচার নিয়ে হাজির।
টাটার যে নতুন ভোল্টাস এসি বাজারে এসেছে সেগুলিতে বিদ্যুৎ বিল অনেক কম আসবে বলেই দাবি করা হচ্ছে সংস্থার তরফ থেকে। শুধু দাবি নয়, পাশাপাশি যারা টাটার নতুন ভোল্টাস ব্যবহার করছেন তারাও জানাচ্ছেন, এসি মানে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচের ভয় থাকে তা এই এসিতে নেই। যে কারণে তারা নিশ্চিন্তেই ব্যবহার করছেন টাটা ভোল্টাস এসি। এছাড়াও নতুন মডেলের টাটা ভোল্টাস এসিতে এমন কিছু ফিচার দেওয়া হয়েছে যেগুলিও চমকপ্রদ।
আরও পড়ুন ? Tata Croma Portable AC: চাকা লাগানো এসি! বেডরুম থেকে কিচেন সব জায়গাতেই ফিট! দুর্দান্ত উপহার টাটাদের
টাটা ভোল্টাসের নতুন এসিতে রয়েছে ওয়াইফাই কানেক্টিভিটি। ওয়াইফাই কানেক্টিভিটি থাকার কারণে আপনি আপনার মোবাইলের সঙ্গে আপনার এসি কানেক্ট করে বাড়ির যেকোনো জায়গা অথবা ওয়াইফাই রেঞ্জ থেকে এসি কন্ট্রোল করতে পারবেন। এছাড়াও নতুন মডেলে রয়েছে ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের মত ফিচার। এক্ষেত্রে আপনি যখন টাটা ভোল্টাসের এসি নেবেন তখন এই সকল ফিচারগুলি রয়েছে কিনা তা দেখে নেবেন।
টাটা ভোল্টাসের বিভিন্ন মডেলের এসি এখন বিভিন্ন দোকানের পাশাপাশি বিভিন্ন অনলাইন সংস্থায় বিক্রি হয়ে থাকে। মডেলের ভিত্তিতে আপনার এসির দাম হয়। তবে এখন তুলনামূলক টাটা ভোল্টাসের এসি অনেক সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে Gadgets Now নামের অনলাইন বিপণনী সংস্থায়। এই সংস্থায় সমস্ত রকম ফিচার এবং অন্যান্য সংস্থার তুলনায় অন্ততপক্ষে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত কমে এসি পেতে পারেন। অন্যদিকে মাত্র ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা ডাউন পেমেন্ট করেও এসি বাড়ি আনতে পারবেন। এক্ষেত্রে এসির দাম ৩৯ থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে হলে আপনাকে প্রতিমাসে ইএমআই দিতে হবে। মোটামুটি ভাবে তিন হাজার টাকা প্রতি মাসে জমা করেই আপনি বেশি আনতে পারবেন, কিস্তি দিতে হবে আট মাস।