নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ মাথা চেড়ে ওঠার কারণে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর গত ২২ এপ্রিল তড়িঘড়ি সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলি ছুটি দেওয়ার ঘোষণা করেছিল। যেখানে গরমের ছুটি (Summer Vacation) পড়ার কথা ছিল ৬ মে, সেই জায়গায় ২২ এপ্রিল থেকেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে গরমের ছুটি।
গত এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ থেকেই তরতরিয়ে তাপমাত্রার পারদ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিল দক্ষিণবঙ্গে। এরপর থেকেই শুরু হয় টানা তাপপ্রবাহ। ভোট চলাকালীন এমন তাপপ্রবাহ দেখে রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক আধিকারিকরা বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেন স্কুল সহ সমস্ত সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি দেওয়ার। তবে গরমের ছুটির দিন এগিয়ে আনা হলেও ফের কবে স্কুল খুলবে তা সেই সময় জানানো হয়নি। মূলত অনির্দিষ্টকালের জন্যই স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
এরপর দেখতে দেখতে একমাস কেটে গিয়েছে। দেখতে দেখতে আবহাওয়াতেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। স্বাভাবিকভাবেই ফের স্কুল খোলা (School Reopen) নিয়ে চারদিকে যখন জল্পনা শুরু হয়েছে সেই সময় গত সোমবার জানানো হয়, পড়ুয়াদের জন্য গরমের ছুটি আরও বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। গরমের ছুটি আরও ৭ দিন বাড়িয়ে স্কুল খোলার দিন ধার্য করা হয় ১০ জুন সোমবার। তবে পড়ুয়াদের গরমের ছুটি বাড়লেও স্বস্তি নেই শিক্ষকদের।
কেননা সোমবার রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাজ্যের স্কুলগুলিতে আগামী ১০ জুন থেকে পঠন পাঠন শুরু করা হলেও ৩ জুন থেকেই শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদের স্কুলে আসতে হবে। হিসেব অনুযায়ী ওই দিন থেকেই শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীদের স্কুল শুরু হয়ে যাচ্ছে। পড়ুয়াদের স্কুল শুরু হবে এর সাত দিন পর।
৩ জুন থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদের স্কুলে এসে বেশকিছু কাজ করতে হবে। মূলত ভোটের কারণে বেশ কিছু স্কুলে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র করা হয়েছিল, রাজ্যের বেশ কিছু স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী আশ্রয় নিয়েছে। এসবের কারণে পড়াশুনোর পরিবেশ এলোমেলো হয়ে যাবে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পড়ুয়াদের ৩ তারিখ থেকে স্কুল যাওয়ার দরকার নেই বলে জানানো হয়েছে এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীদের ৩ তারিখ থেকে স্কুল গিয়ে স্কুলের পরিবেশ ফের পড়াশোনার মতো করতে হবে। সরকারের তরফ থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীদের স্কুলে যাওয়ার দিন বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি কাজও বেঁধে দেওয়া হলো।