নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের শিক্ষা পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে বড়সড় বদল এনেছে কেন্দ্র সরকার। নতুন শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সবুজ সংকেত দিয়ে দিয়েছে। আর এই নতুন শিক্ষানীতিতে শিক্ষকদের জন্য একটি সুখবর রয়েছে। যে সুখবরটি হলো, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পড়ানো ছাড়া অন্য কোন কাজ করতে হবে না। নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী অশিক্ষামূলক কাজ থেকে মুক্তি পেতে পারেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।
এযাবত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পড়ুয়াদের পড়ানো ছাড়াও বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত থাকতে হতো। যেমন তাদের ভোটের সময় অংশগ্রহণ করতে হত ভোট পরিচালনার জন্য। এছাড়াও বেশ কিছু কঠোর প্রশাসনিক কাজেও তাদের অংশগ্রহণ করতে হত। কিন্তু গত বুধবার কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে যে নয়া শিক্ষানীতিতে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, শিক্ষকরা কেবলমাত্র পড়ানোর কাজে নিযুক্ত থাকবেন। নয়া শিক্ষানীতি অনুযায়ী তাদের আর পড়ানোর বাইরে ভোট পরিচালনা করা অথবা অন্যান্য কঠোর প্রশাসনিক কাজে নিযুক্ত হওয়ার ইত্যাদি ছাড়াও অন্য কোনো রকম কাজে নিযুক্ত হতে হবে না।
নতুন শিক্ষানীতির নথিতে বলা হয়েছে, ‘অশিক্ষামূলক বিভিন্ন কাজে শিক্ষক-শিক্ষিকারা যে অনেক সময়ই দিয়ে থাকেন তা রুখতে পড়ানোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত কোন কাজ ছাড়া অন্য কোন কাজে নিযুক্ত হতে পারবেন না।’ যদিও এ বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে বলা হয়নি ঠিক কোন কোন কাজে শিক্ষকরা পড়ানোর বাইরে নিযুক্ত হতে পারবেন না। নথিতে কেবলমাত্র কয়েকটি উদাহরণ যেমন ভোটের কাজ, মিড ডে মিলের রান্না, কঠোর প্রশাসনিক কাজ তুলে ধরে বলেছে যোগ দিতে পারবেন না বলে। আর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা পড়ানো এবং শেখানোতে আরও বেশি মনোযোগ দিতে পারেন।