নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে হাতে স্মার্টফোন মানেই 4G সিমকার্ড আর ইন্টারনেট। এই 4G সিম কার্ড এবং ইন্টারনেট সঙ্গে রিচার্জ না থাকলে যেন দুনিয়া থমকে যায়। অন্যদিকে আবার সম্প্রতি এই রিচার্জ প্ল্যানের দাম বৃদ্ধি করেছে প্রতিটি বেসরকারি টেলিকম সংস্থা। প্ল্যানের দাম বৃদ্ধি করলেও সেই সকল প্ল্যানের মেয়াদ ভ্যালিডিটি বৃদ্ধি করে নি কোন টেলিকম সংস্থা।
অন্যদিকে আবার এই সকল টেলিকম সংস্থা বিভিন্ন রিচার্জ প্ল্যানের ক্ষেত্রে এক মাস, দু’মাস অথবা তিন মাস বলে ভ্যালিডিটি দিয়ে থাকে। কিন্তু তাদের কাছে এক মাস হয় ৩০ দিনের পরিবর্তে ২৮ দিন। এই নিয়ে ব্যবহারকারীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিকবার ক্ষোভ উগড়াতে দেখা গিয়েছে। তবে জানেন কি, কেন এই টেলিকম সংস্থাগুলি ৩০ দিনের পরিবর্তে ২৮ দিনের মেয়াদ দিয়ে থাকে?
আসলে এই প্ল্যানিংয়ের পিছনে রয়েছে বিশাল মোটা অঙ্কের একটি মুনাফা পকেটে পুড়ার পরিকল্পনা। খুব নিখুঁতভাবে হিসাব করলে বুঝতে পারবেন, এইসকল টেলিকম সংস্থাগুলি ২৮ দিনে মাস ধরার কারণে, তাদের কাছে বছর হয় ১২ মাসের পরিবর্তে ১৩ মাসে। ফলে বছরে তারা রিচার্জ প্ল্যান বাবদ যা মুনাফা লাভ করে থাকেন, তাছাড়াও বাড়তি একমাস গ্রাহকদের খরচ মুনাফা হিসাবে পেয়ে থাকে।
এমনিতেই গত নভেম্বর মাসের শেষ থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রতিটি বেসরকারি টেলিকম সংস্থা নিজেদের রিচার্জ প্ল্যানগুলির দাম বৃদ্ধি করেছে ২০-২৫ শতাংশ। এই দাম বৃদ্ধির পর প্ল্যানগুলির দাম বেড়েছে ৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই টেলিকম সংস্থাগুলি ২৮ দিনে মাসের হিসেব করে থাকায় আরও বেশি সমস্যায় পড়ছেন গ্রাহকরা। ক্ষোভ দেখাচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
হিসেব অনুযায়ী, ১২ মাসে বছর হলেও টেলিকম সংস্থাগুলির কাছে ১৩ মাসে বছর হওয়ায় গ্রাহকদের ১৩ তম রিচার্জে টেলিকম সংস্থাগুলি কয়েক হাজার কোটি টাকা লাভ করে থাকে। এই লাভ হয়ে থাকে কেবলমাত্র একটি মাসেই, যে মাসটি বছরে বাড়তি হিসেবে পেয়ে থাকে টেলিকম সংস্থাগুলি।