নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েকদিন ধরেই, বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় সিতরাংয়ের প্রভাব কেটে যাওয়ার পর তাপমাত্রার পারদ অনেক নিচে নেমেছে। রাতের দিকে এবং ভোরের বেলায় শিরশিরানি ভাব অনুভূত হতে শুরু করেছে শহর থেকে শহরতলীতে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার দেখা যাচ্ছে গুমোট গরম।
এই পরিস্থিতিতে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে আগামী কয়েক দিন রাজ্যে কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। শুষ্ক এবং রোদ ঝলমলে আবহাওয়া দেখা যাবে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। এমন পরিস্থিতিতে শীত প্রিয় বঙ্গবাসীদের মনে একটি প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে তা হলো, তাহলে কি দোরগড়ায় শীত? বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কি জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ফলে রাতে এবং ভোরের দিকে শিরশিরানি ভাব অনুভূত হবে। কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে আগামী কয়েক দিন এই পরিস্থিতির কোন বদল ঘটবে না। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ইতোমধ্যেই ২০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছেছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও আগামী দিন কয়েকের মধ্যে ২০ ডিগ্রীর কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। তবে তার নিচে আর নামবে না তাপমাত্রা। শীত রাজ্যে প্রবেশ করার আগে কোনোভাবেই ২০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রার পারদ নামতে দেখা যাবে না। রাজ্যে শীত আসার বিষয়ে যা আশা করা হচ্ছে তাতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে শীতের জন্য।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক গনেশ দাস জানিয়েছেন, সাইক্লোন এবং নিম্নচাপের কারণে রাজ্যের তাপমাত্রার পারদ কিছুটা হলেও কমেছে। তবে এই তাপমাত্রার পারদের পতন ক্ষণস্থায়ী। ভোরের দিকে শীতের যে আমেজ তা অনুভব করা যাবে নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ বা তারপর।