Tesla Pi Phone: সিমকার্ড ছাড়া কোনদিনও ফোন চলতে পারে এ কথা কল্পনা করা যায় না। মার্কেটে এমন একটি স্মার্টফোন আসার সম্ভাবনা রয়েছে যাতে লাগবে না কোন সিমকার্ড এমনকি দিতে হবে না চার্জ। তার ওপর স্মার্টফোনটি যদি টেসলার হয় তাহলে তো কথাই নেই। ওরা যাচ্ছে এই স্মার্ট ফোন দিয়ে নাকি ভবিষ্যতের সঙ্গেও সংযোগ করা যাবে। ঘটনাটা কি আদৌ সত্যি নাকি পুরোটাই গুজব? সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকদিন ধরে এই বিষয়টি নিয়ে চর্চা হচ্ছে। তবে বিষয়টি সত্যতা এখনো যাচাই করা হয়নি। ইলন মাস্ক গাড়ির ব্যবসার পাশাপাশি কি পা রাখতে চলেছেন স্মার্টফোনের ব্যবসাতেও? তবে ফোনের মার্কেটে কিন্তু আইফোনের পরিবর্তে নতুন সেনশেসন হতে পারে ‘পাইফোন’?
আলাদা কি বিশেষত্ব আছে এই পাইফোনে (Tesla Pi Phone)? আইফোন কিংবা যে কোন কোম্পানির স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেই চার্জ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। চার্জ ছাড়া কোনোভাবেই ফোন চলতে পারে না। কিন্তু নতুন এই স্মার্টফোনে বিদ্যুৎ সংযোগ করে আপনাকে চার্জ দিতে হবে না কারণ এই ফোনে স্বয়ংক্রিয় চার্জ হবে। আলোর মাধ্যমে চার্জ হবে এই স্মার্টফোনে। সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্ট থেকে জানা গেছে যে, সৌর শক্তি থেকে বিদ্যুৎ তৈরির প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে চার্জিং ফেসিলিটি থাকবে এই ফোনে। ফোনটি নাকি সূর্যের আলো ছাড়াও, সাধারণ আলোতে রাখলেও চার্জ হবে।
অবাক করা বিষয় হলো ইন্টারনেটেরও প্রয়োজন হবে না এই ফোনে। পাইফোন (Tesla Pi Phone) সরাসরি ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্কের সাথে যুক্ত থাকবে। অনেকেই হয়তো জানেন যে, স্টারলিঙ্কের নিজস্ব একটি বিশ্বব্যাপী কভারেজ নেটওয়ার্ক আছে। স্টারলিঙ্ক হল স্যাটেলাইট বেস কানেকশন সিস্টেম। টেসলার এই ফোনে থাকবে ব্রেন কানেকটিভিটি চিপ। আপনি যা ভাববেন সেটাই বুঝে সেই অনুযায়ী কাজ করবে এই ফোন। এমনকি চালানো যাবে টেসলার গাড়িও। ভবিষ্যতে সংযোগ করা যাবে পৃথিবী-চাঁদ-মঙ্গলের সঙ্গেও। ফোনটির দাম অবাক করবে আপনাকে মাত্র ২৫০-৩০০ ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় হবে প্রায় ২৫,০০০ টাকা। ভারতীয় বাজারে এই ফোন পাওয়া যাবে ২০২৫ সালের মধ্যেই।
আরো পড়ুন: সঞ্জীব শর্মার মহাকাশে উড়ান, ভারতীয় রেল থেকে স্পেসএক্সের প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার অসাধারণ কাহিনী
সত্যিই কি ২০২৫ সালের মধ্যে এই ফোন পাওয়া যাবে ভারতীয় মার্কেটে? তবে এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। টেসলা এই বিষয় নিয়ে এখনো প্রকাশ্যে কিছুই বলেনি। টেসলার সিইও ইলন মাস্ক টেসলা মডেল পাইফোনের (Tesla Pi Phone) বিষয়টিকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি একটি ভিডিওর মাধ্যমে প্রথম ২০২১ সালে প্রথম একটি ভিডিয়োয় নানা গ্রাফিক্যাল প্রেজেনটেশনের মাধ্যমে এই ফোনটির ধারণা প্রকাশ্যে আসে। মনে করা হচ্ছে, সেই ভিডিয়ো থেকেই পরবর্তীকালে সমাজমাধ্যমে জন্ম নেয় নানা জল্পনা কল্পনার। গত বছরও এই ফোনটি নিয়ে কথা বলেছেন ইলন মাস্ক। টেসলা ‘টুইটার’ অধিগ্রহণের পরে প্ল্যাটফর্মটি অ্যাপ স্টোর সংক্রান্ত নানা বিধিনিষেধের সম্মুখীন হয়। এ কারণে তিনি বিকল্প এই ফোনের কথা প্রকাশ্যে আনেন। পরে অবশ্য এই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
টেসলা কর্ণধার ফোনটির বিষয়কে অস্বীকার করলেও প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা এই স্মার্টফোন এর বিষয়টিকে উড়িয়ে দেননি। গাড়ি আনলক করা, এমনকি চালানো পর্যন্ত যায় এই ফোনের মাধ্যমেই। ভবিষ্যতে হয়তো টেসলা ফোন তৈরি করতে পারে। ইলন মাস্ক ওপেনএআই-এর চ্যাট জিপিটি-এর কারণে, এক্স নিরাপত্তা বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এই ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য টেসলা ভবিষ্যতে তার এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টফোন লঞ্চ করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে মার্কেটে এই ধরনের ফোন আসবে কিনা সেই বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। ধরে নিতে হবে বিষয়টি পুরোপুরি গুজব।