That’s why Nusrat Jahan did not get the nomination paper in this election: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন TMC ইতিমধ্যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে মোট ৪২ জন প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এই তালিকায় বহরমপুর আসন থেকে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান, আসানসোল থেকে শত্রুঘ্ন সিনহা এবং দুর্গাপুরের কীর্তি আজাদ-এর মতো কিছু উচ্চ-প্রোফাইল নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দলটি ১৬ জন বর্তমান এমপি এবং ১২ জন মহিলা প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাগ্নে অভিষেক ব্যানার্জি কলকাতায় TMC প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেছেন। বাদ পড়েন মিমি, নুসরাত (Nusrat Jahan)। যদিও শোনা যায় মিমি চক্রবর্তী নিজেকেই সরে দাঁড়ান ভোটের দামামা থেকে।
দলটি টানা দ্বিতীয় কনসেকিউটিভ টার্মেও কৃষ্ণনগর আসন থেকে বহিষ্কৃত লোকসভা সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে পুনরায় মনোনীত করেছে। পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা আসনে টিএমসি তাদের প্রার্থী ঘোষণা করায় কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ বলেছেন যে, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সর্বদা পশ্চিমবঙ্গে টিএমসির সাথে আসন ভাগাভাগির একটি সম্মানজনক পদ্ধতিতে করতে চায়। মানে কোনো দ্বন্দ্ব না করে পারস্পরিক আলোচনা, অথবা কিছু আপসে ব্যাপারটা মেটাতে চান। তবে এই সব কিছুকে সরিয়ে স্পটলাইট এসেছে নুসরাত জাহান এর ওপর।
গত মাসে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে, তৃণমূলের বিরোধীদল বিজেপি নুসরাত জাহানকে (Nusrat Jahan) ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে রিল তৈরি করার জন্য সমালোচনা করেছিল। যে মুহূর্তে সন্দেশখালিতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছিল, মানুষে মানুষে বিরোধিতার পারদ তর তর করে বেড়ে চলেছিল, সেই মুহূর্তে কি করে জননেত্রী ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রামে কোমর দুলিয়ে নাচতে পারেন।
আরও পড়ুন ? Nusrat Jahan Tattoo: নিখিল নয়, যশও নয়, নুসরতের বুকের ট্যাটুতে অন্য পুরুষের ইতিহাস! ফাঁস গোপন অতীত
তবে শুধুমাত্র বিরোধী দলই নয়, নিজের দলের মধ্যেও নুসরাত জাহানকে (Nusrat Jahan) নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছিল বহুদিন ধরে। গত পাঁচ বছরে অভিনেত্রীকে যতটা না সোশ্যাল মিডিয়াতে নাচ-গান, পার্টিতে মত্ত থাকতে দেখা যায়। তার এক কোনাও বসিরহাটের মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় নি।
গত পাঁচ বছরে তাকে ঘিরে বহু অভিযোগ শোনা যায়। প্রথমেই যে স্বামীর পদবী বহন করে রাজনীতিতে শপথ নেন, তাকেই পরে স্বামী হিসেবে অস্বীকার করেন। এরপর হঠাৎই শোনা যায় তিনি গর্ভবতী এবং যশ হলেন তার পুত্রের বাবা। এছাড়া এর আগে পার্কস্ট্রিটে ধর্ষণ কান্ডের অভিযুক্তের সাথে জড়িয়ে পড়েছিল তার নাম। ফ্ল্যাট নিয়ে মামলায় কোটি কোটি টাকার তছরুপির সাথেও তার নাম জড়ায়। ইডির দুয়ারেও হত্তে দিতে হয় তার। সমস্ত কিছু কারণের জন্যই তৃণমূল থেকে টিকিট মেলেনি নুসরাত জাহানের।