সচেতনতায় সার! শারদোৎসবেও দাপট ফ্লেক্স-প্লাস্টিকের

নিজস্ব সংবাদদাতা : সচেতনতা প্রচারই সার। সতর্কতার বার্তাও গেল বিফলে। শারোদৎসবের চারটি দিনেই বীরভূম জেলা জুড়েই দেদারে চলেছে ফ্লেক্স, প্লাস্টিকের ব্যবহার। শুধু ব্যবহারই নয়, যথেচ্ছভাবেই এদিক ওদিকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার দৃশ্যের সাক্ষী থেকে সদর শহর সিউড়ি থেকে শুরু করে রামপুরহাট, বোলপুর সহ গঞ্জ এলকাতেও। যা নিয়ে যথেষ্টই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশপ্রেমীরা।

দূষক সৃষ্টিকারী প্লাস্টিক, ফ্লেক্স প্রভৃতি ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রন আনতে চলছে নিরবিচ্ছিন্ন প্রচার। উৎসবের দিনগুলিতে যাতে এই নিয়ন্ত্রন ব্যাপকমাত্রায় আনা যায় তার জন্যও ছড়ানো হয়েছিল সতর্কবার্তা। তারপরেও পাল্টায় নি পরিস্থিতি। অধিকাংশ পুজো মণ্ডপেই পুজো চারদিন দেখা মিলেছে যথেচ্ছভাবে প্লাস্টিকের ব্যবহার। বিজ্ঞাপন, প্রচারের স্বার্থে শহরের পুজো মন্ডপ থেকে রাস্তাঘাট সর্বত্র ফ্লেক্সের মোড়কে আবদ্ধ থাকার সেই চেহারায় বিন্দুমাত্র ভাঁটা পড়েনি এবারও। বড় ছোট খাবারের দোকানেও দেদারে ব্যবহৃত হয়েছে পরিবেশ দূষনকারী প্লাস্টিকের বোতল, ক্যারি ব্যাগ। এখনও যত্রতত্র পড়ে রয়েছে পরিবেশ দূষনকারী এই সমস্ত সামগ্রীর সম্ভার।

আর এই প্ল্যাস্টিক ব্যবহারের ব্যাপারে সিউড়ির পরিবেশকর্মী শুভাশিস গঁড়াই জানান, “যেকোনো উৎসবে যথেষ্ঠ প্লাস্টিকের ব্যবহার নজরে পড়ে। মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পেলেও তা এখনও অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছায়নি। জনসেচতনতার আরও ব্যাপক বৃদ্ধি ছাড়া এই লড়াইয়ে কোনো বিকল্প পথ নেই।”

উৎসবের চারটি দিনে প্রায় সর্বত্রই নজরে পড়েছে চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্লাস্টিকজাত আবর্জনা মূলত পলিথিন, প্লাস্টিকের চায়ের চাপ, আইসক্রিমের প্যাকেট, জলের বোতল ইত্যাদির। কোথাও ওই আবর্জনাগুলিকে পরিষ্কারের উদ্দেশ্যে একত্রিত করে রাখা হয়েছে তো কোথাও যেমন ফেলা হয়েছে তেমনই পড়ে রয়েছে অগোছালোভাবেই। জলবায়ূর উপর আঘাত, পরিবেশে তীব্র দূষনের অন্যতম কারন ৪০ মাইক্রনের নীচের প্লাস্টিক ব্যবহার, এ নিয়ে ব্যাপক প্রচারের পরেও কেন মানুষ সচেতন হচ্ছেন না তা নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা। অধিকাংশ জায়গায় ছিল না আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো স্থান বা ভ্যাট। যার খেসারত দিতে হয়েছে পরিবেশকেই। আখেরে যা আঘাত নেমেছে জনজীবনেই। এই সচেতনতার অভাব এখনও কতখানিছে তারই জানান দিয়েছে এই শারদোৎসব।