খালা খন্দে ভরা জাতীয় সড়ক, যাতায়াতে প্রাণ ওষ্ঠাগত যাত্রীদের

লাল্টু : বারংবার বীরভূমের উপর দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়কের বেহাল দশা নিয়ে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ সত্ত্বেও সেভাবেই কাজ করতে দেখা যায় না জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে। আর এবার পুজোর আগে জাতীয় সড়কের যা অবস্থা তাতে যানবহনের পরিবর্তে গরুর গাড়ি চালানোই শ্রেয় বলে মতামত পথচলতি মানুষের।

জাতীয় সড়কের এই বেহাল দশার কারণে আধ ঘন্টার রাস্তা পরিণত হয়েছে দু ঘন্টায়, পাশাপাশি প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে দুর্ঘটনার। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, বারবার জাতীয় সড়ক অথরিটিকে জানানো সত্ত্বেও সে ভাবে তারা ভ্রূক্ষেপ করেন না। কেবলমাত্র কিছু পাথর আর ডাস্ট দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চালায়। ফলে আবার কিছুদিনের মধ্যেই বেহাল দশায় পরিণত হয়।

জাতীয় সড়কের এই বেহাল অবস্থা বীরভূমের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বেশিরভাগ অংশেই। যে কারণে দিনের পর দিন যানজটের সম্মুখীন হতে হচ্ছে একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যাওয়া যাত্রীদের, এমনকি বেহাল অবস্থা এতটাই যে যাতায়াতে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে যাত্রীদের।

আর জাতীয় সড়কের এই করুণ দশার জন্য দুর্বিষহ অবস্থা বীরভূমের দুবরাজপুরের শহরবাসীদের। কারণ এই ছোট শহরের মধ্য দিয়েই চলে গেছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। শহরের মধ্যে পাঁচ কিলোমিটার জাতীয় সড়কের তিন কিলোমিটার রাস্তাই খানাখন্দে ভর্তি। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা এমনকি জনপ্রতিনিধিরাও এই রাস্তা নিয়ে তিতিবিরক্ত।

এলাকার প্রাক্তন পৌরপতি পীযুষ পান্ডে জানান, “আমরা বারবার ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটিকে জানানো সত্ত্বেও তারা সেভাবে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলত সমস্যাই শহরের বাসিন্দারা, শুধু শহরের বাসিন্দারাই নয়, সমস্যায় রয়েছেন পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকে আগত মানুষেরাও।”

তিনি আরও জানান, “পুজোর পরেও যদি রাস্তার এমন হাল থাকে তাহলে আমরা জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে বড়সড় আন্দোলনে নামবো।”