নিজস্ব প্রতিবেদন : সম্প্রতি মহাকাশে বেশ কয়েকটি মহাজাগতিক ও বিরলতম ঘটনার সাক্ষী থেকেছে মানব সমাজ। এই সকল ঘটনার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ডিসেম্বর মাসে মানব সমাজ এমন এক ধূমকেতুর চাক্ষুষ করতে চলেছে, যা বিরল থেকে বিরলতম। পৃথিবী এই মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী থাকছে ৩৫০০০ বছর পর।
৩৫০০০ বছর পর এই যে ধুমকেতু পৃথিবীর কাছাকাছি এসেছে সেই ধুমকেতু প্রথম লক্ষ্য করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্রেগরি জে লিওনার্ড। তিনি এই ধুমকেতু লক্ষ্য করেন ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে। এরপরই এই ধূমকেতুর নামকরণ করা হয় ওই জ্যোতির্বিজ্ঞানীর নামের পরিপ্রেক্ষিতেই লিওনার্ড। সরকারিভাবে এর নামকরণ করা হয়েছে C/2021 A1।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের থেকে জানা গিয়েছে এই ধুমকেতু এসেছে প্রায় ৫৫ হাজার ৩৫১ কোটি কিলোমিটার দূর থেকে। এই দূরত্বই হলো এই ধূমকেতুর সূর্য থেকে সর্বাধিক দূরত্ব বা এফিলিয়ন। যখন এটিকে প্রথম দেখা যায় তখন তার অবস্থান ছিল NGC 4631 গ্যালাক্সির কেন্দ্রে। লিওনার্ড ধুমকেতু আগামী বছর ৩ জানুয়ারি সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি আসবে।
এই ধূমকেতুটি পুরো ডিসেম্বর মাসজুড়ে আকাশে দৃশ্যমান থাকবে। এই ধুমকেতু দৃশ্যমানের সবচেয়ে ভালো সময় হল সূর্যোদয়ের আগে কয়েক ঘণ্টা। তবে সূর্যাস্তের পরে সন্ধ্যার আকাশে এই ধুমকেতু লক্ষ্য করা যাবে। গত ১২ ডিসেম্বর থেকে এই ধুমকেতু পৃথিবীর কাছাকাছি এলেও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মনে করছেন ১৭ ডিসেম্বর সবচেয়ে ভালো দৃশ্যমান হবে এই ধুমকেতু।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই ধুমকেতু আগুনের গোলার মতো জ্বলজ্বল করছে। আবার এর চারপাশে রয়েছে সবুজ আভা। এই ধুমকেতু এতটাই উজ্জ্বল যে একে আকাশে খালি চোখেই দেখা যাচ্ছে। এটিকে দেখার জন্য কোন বাইনোকুলার বা টেলিস্কোপের প্রয়োজন না হলেও এগুলির মধ্যে দিয়ে দেখা হলে খুবই স্পষ্ট ভাবে দেখা যাবে সুপ্রাচীন এই ধূমকেতুকে।