নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের ভোটের আগের দিন কয়েক ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। ভোটের এক সপ্তাহ আগে তাকে নোটিশ পাঠায় আয়কর দপ্তর। এরপর গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই নোটিশ। আর ভোটের ঠিক ৪৮ ঘণ্টা আগে নজরবন্দি।
নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে মঙ্গলবার তৃণমূলের এই দাপুটে নেতাকে নজরবন্দি করার সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত মত কমিশনের নির্দেশিকা বীরভূম জেলা প্রশাসনের কাছে পৌঁছে গেছে বলে জানা যাচ্ছে। আর সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটা থেকেই তাকে নজরবন্দি করা হয়। নজরবন্দি করার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে সমস্ত রকম বন্দোবস্ত করা হয়েছে, অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে যায় অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে। ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময়ের জন্য এই নজরবন্দি করা হচ্ছে অর্থাৎ তিনি নজরবন্দি থাকবেন ভোটের পর দিন সকাল ৭টা পর্যন্ত। তবে অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করার এই ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও আমরা একাধিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা দেখেছি।
নজরবন্দি করার পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, “এটা রুটিন। এটা নির্বাচন কমিশনের রুটিন। ২০১৪ সাল থেকে খাতা খুলে ছিল। তারপর থেকেই রুটিন অনুযায়ী কাজ চলছে। তবে আমি এখনো কোনো রকম নোটিশ পাইনি। আমি শুধু টিভিতে খবর দেখলাম।”
অন্যদিকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোলপুরে এসে দাবি করেছিলেন, “এবার যদি অনুব্রতকে নজরবন্দি অথবা গৃহবন্দি করা হয় তাহলে আদালতে যাবো।” এর পরিপ্রেক্ষিতে অনুব্রত মণ্ডল জানান, “১০০ বার। কালকের খবর পাবেন। বুঝতে পারবেন।” পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল নজরবন্দি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূমের মানুষ জবাব দেবে বলে জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, “বীরভূমের ১১ টা সিটে মানুষ জবাব দেবে। বীরভূমের মানুষ চিন্তাভাবনা করবে। বীরভূমের মানুষের উন্নয়ন করি বলে এই ফল। তার জন্য ব্যালটবক্সে বীরভূমের মানুষ জবাব দেবে।”
[aaroporuntag]
কিন্তু নজরবন্দির কারণে কি অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে? জবাবে অনুব্রত মণ্ডল তার স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতেই জানিয়েছেন, “খুব লাভ হবে। কোন লোকসান নেই। নজরবন্দি করবে। বয়ে গেল। আমি যেখানে যাবো, আমার সঙ্গে যাবে। ছুটবে ওরা। ফাইন খেলা। যারা থাকবে তারা গোলটা পাস করে দেবে। ভয়ঙ্কর খেলা হবে। যদি সিআরপিএফ আশেপাশে বল দিয়ে দেখিয়ে দেবো কেমন করে খেলা করতে হয়।”