দেশের একটি বড় অংশের মানুষ হলো মধ্যবিত্ত। মধ্যবিত্ত মানুষ তাদের প্রতিদিনকার যাতায়াতে Scooty ব্যবহার করে থাকেন। স্কুটার ব্যবহার হিসাবমত বাইকের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া এটি চালানো এতটাই সহজ যে মোটরসাইকেলের বিক্রিকেও ছাপিয়ে দিচ্ছে Scooty। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই স্কুটার চালাতে গিয়ে মস্তবড় ভুল করে বসে, যায় ফলে শুধু ইঞ্জিন নয় মাইলেজও বৃদ্ধি পায়না।
সম্প্রতি এদেশে টিভিএস, সুজুকি, হন্ডা, ইয়ামাহা সব কোম্পানিই উন্নত জ্বালানি দক্ষতার Scooty লঞ্চ করেছে। এছাড়াও এই স্কুটারগুলি সব উন্নত মানের প্রযুক্তিসম্পন্ন যা দু চাকার লাইফসাইকেল বাড়িয়ে তোলে। আপনি কি জানেন দেশে প্রতি বছর ৫০ লাখ স্কুটার বিক্রি হয়? যদিও ৫০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার দখল করে নিয়েছে হণ্ডা।
বর্তমানে Scooty -এর গ্রাহক সংখ্যা বাড়লেও বেশিভাগ মানুষই স্কুটার চালাতে গিয়ে অনেক ভুল অভ্যাস প্রয়োগ করে। এক সমীক্ষাতে বলা হয়েছে যে, দেশে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ ভুল উপায়ে স্কুটার চালান। ফলে দিনের পর দিন এই পদ্ধতিতে স্কুটি চালানোর ফলে কমতে থাকে মাইলেজ, ধীরে ধীরে খারাপ হতে শুরু করে স্কুটারের ইঞ্জিন।
Scooty তে গিয়ার পাওয়া হলো সবথেকে বড় সমস্যা। এতে না আছে ফুট ব্রেক না আছে ক্লাচ। সাইকেল চালাতে যেমন দু হাতে ব্রেক ব্যবহার করতে হয় ঠিক তেমনই স্কুটার চালানোর ক্ষেত্রেও দু হাত চেপে ব্রেক কষতে হয়। ফলে সারাক্ষণ হাতের আঙুল ব্রেকেই থাকে তাই ক্রমাগত ব্রেক কষার প্রবণতা দেখা যায় চালকদের মধ্যে। এই সময় অনেকে অ্যাক্সালেটরও ব্যবহার করে। যেকোনো যানবাহন চালাতে গেলে এটি একটি বাজে অভ্যাস।
Scooty তে ব্রেকে আঙুল চেপে রাখলে তা চাপ ফেলে ইঞ্জিনের উপর। এর ফলে ইঞ্জিনের ক্লাচ প্লেট দ্রুত শেষ হয়ে আসতে থাকে। ফলে আপনার স্কুটি বেশি পরিমাণে পেট্রল খেতে শুরু করে। সাধরনত একটি স্কুটার মূলত কমবেশি ৪০ কিলোমিটার বা তার বেশিই মাইলেজ দিয়ে থাকে। কিন্তু এই ভুল উপায় অবলম্বন করার ফলে বর্তমানে মাইলেজ এসে দাঁড়ায় ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটারে। মাইলেজ কমার ফলে সরাসরি পকেটে টান পড়ে আম জনতার। বর্তমানে তেলের দাম খুবই বেশি সেখানে ২ থেকে ৩ লিটার জ্বালানি ভরতেই নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। তাই এই ভুল অভ্যাস অবশ্যই ত্যাগ করা উচিত।