নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপির বিজয় রথ আটকে গেল কর্নাটকে। কর্ণাটক বিধানসভায় ২২৪ আসনের মধ্যে ১২৩ টি আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় ওল্ড পার্টি কংগ্রেস। বিজেপিকে আটকে এইভাবে কর্নাটক দখল করার পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেসের একাংশ রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার কৃতিত্বকে দাবি করছেন। আবার অনেকেই কর্নাটকে কংগ্রেসের এমন জয়ের কারণ হিসাবে যাকে কারিগর মনে করছেন তিনি হলেন DK।
কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হলেন ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের ডিকে শিবকুমার (DK Shivkumar)। কর্ণাটকে এমন জয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ভাবি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি বড় দাবিদার। তবে তার এই পরিশ্রম এবং অবদানের ফল হিসাবে তিনি গদি পাবেন কিনা তা স্পষ্ট হয়ে যাবে দিন দুয়েকের মধ্যে। এমন একজন প্রভাবশালী নেতার অবদানের পরিপ্রেক্ষিতেই কর্ণাটক কংগ্রেসের আঁচলে এসেছে বলে একাংশের দাবি।
ডিকে শিবকুমার ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি এমন এক সম্প্রদায় থেকে আসা ব্যক্তিত্ব যে সম্প্রদায় হলো কর্নাটকের লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের পরেই দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোক্কালিগা সম্প্রদায়। কর্ণাটকের জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ মানুষ এই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।
কর্নাটকের কনকপুরাতে জন্মগ্রহণ করা কংগ্রেস নেতার ডিকে শিবকুমার মহীশূরের কর্নাটক রাজ্য মুক্তি বিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেন। আটের দশকে যখন তিনি ছাত্র ছিলেন তখন থেকেই একজন কংগ্রেস কর্মী হিসাবে নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এরপর থেকে তিনি কখনো নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করেননি। তার এমন একাগ্রতার পরিপ্রেক্ষিতেই ধাপে ধাপে তিনি কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে উপবিষ্ট হন।
১৯৮৯ সালে বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ২৭ বছর বয়সে তিনি মহীসূরের সতনুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রথমবারেই তিনি বিধায়ক নির্বাচিত হন এবং তারপর পরবর্তীতে ১৯৯৪, ১৯৯৯ ও ২০০৪ সালে এই কেন্দ্র থেকেই পরপর জয় পান। পরে কেন্দ্র পরিবর্তন করে চলে আসেন কনকপুরে। এরপর ২০০৮, ২০১৩ এবং ২০১৮ প্রত্যেক নির্বাচনেই তিনি কনকপুর থেকে জয়লাভ করেন। তার সেই জয়ের ধারাবাহিকতা ২০২৩ সালেও বজায় থাকলো।
কর্নাটকে কংগ্রেসের জয়ের কারিগর ডিকে শিবকুমার ৮৪০ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তির মালিক। কংগ্রেসে যখনই তহবিলের প্রয়োজন হয় তখনই এগিয়ে আসতে রাখা যায় শিবকুমারকে। তবে এই নেতাও সিবিআই, ইডি এবং আয়কর বিভাগের স্ক্যানারে রয়েছেন। এমনকি নির্বাচনের আগে ১০৪ দিন তিনি কারাগারে ছিলেন। এর আগেও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৯ সালে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।