নিজস্ব প্রতিবেদন : ভ্রমণপিপাসুরা অনেকেই বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়ান। তবে তারা অনেকেই দক্ষিণ ভারতের এই শেষ গ্রামকে চেনেন না। দক্ষিণ ভারতের এই শেষ গ্রামের নাম আবার অনেকের জানা থাকলেও এত দূরে হওয়ার কারণে এখানে যান না। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক দিয়ে এই গ্রাম যে অতুলনীয় তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না।
ভারতের দক্ষিণ অর্থাৎ দক্ষিণ ভারতের এই শেষ গ্রামটির নাম হল ধানুশকোড়ি। এই গ্রামে জনবসতি খুব নগণ্য। তবে সম্প্রতি ধাপে ধাপে এই গ্রামে বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। প্রকৃতি, রোমাঞ্চকর সৌন্দর্য, আকর্ষণীয় রাস্তার কারণে বারে বারে পর্যটকরা এই গ্রামে ফিরে আসেন। এই গ্রাম তামিলনাড়ুর পামবান দ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত।
ট্রাভেল স্পট হিসেবে এই গ্রামের যেমন নাম রয়েছে, ঠিক তেমনি আবার এখানে রয়েছে কিছু লোক কাহিনী। ভয়ঙ্কর কোন ঘটনা না ঘটলেও এই গ্রামকে অনেকেই ভুতের গ্রাম বলে চেনেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই এলাকায় মানুষের বাস সেই ভাবে নেই। ১৯৬৪ সালে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে এই গ্রাম বিপর্যস্ত হয়। প্রচুর মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল সেই সময় এবং এখনো পর্যন্ত সেই ধ্বংসাবশেষের অবশিষ্ট পড়ে রয়েছে।
পামবান দ্বীপের প্রান্তে পাক প্রণালী দ্বারা পৃথক এই গ্রামে রয়েছে বঙ্গোপসাগরের ঘোলাটে নীল জল। এখান থেকে শ্রীলঙ্কা খুব কাছে। ধানুশকোড়িকে পরিত্যক্ত শহর হিসাবে মনে করা হয় এবং আক্ষরিক অর্থে এটি ধনুকের শেষ অংশ। লঙ্কা থেকে সীতাকে উদ্ধার করার জন্য শ্রীরামচন্দ্র যে ভাসমান সেতু নির্মাণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তার জন্য এই গ্রামের অংশকে চিহ্নিত করা হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
এই গ্রাম গেলে যে সকল দর্শনীয় স্থান দেখার জন্য রয়েছে সেগুলি হল পামবান দ্বীপ, অ্যাদম ব্রিজ, মান্নার উপসাগর, মেরিন ন্যাশানাল পার্ক ইত্যাদি।