The longest road in the world, it will take a long time to cross: যেকোনো উন্নতিশীল দেশের উন্নতির সবথেকে বড় প্রমাণ হলো তার রাস্তাঘাট। রাস্তাঘাট যত উন্নত হবে যাতায়াত ব্যবস্থাও তার সাথে সাথে উন্নত হবে। দেশকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভালো সড়ক ব্যবস্থা একান্ত প্রয়োজনীয়। ভারতেও সম্প্রতি বহু উন্নত সড়ক পথ তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ন্যাশনাল হাইওয়ে-৪৪। এই রাস্তাটি হলো ভারতের দীর্ঘতম সড়ক পথ এবং এটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪১১২ কিলোমিটার। ভারতের এই দীর্ঘতম রাস্তাটি শ্রীনগর থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত বিস্তৃত। আপনি কি জানেন পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাসড়ক (Longest Road of World) কোনটি?
পৃথিবীর দীর্ঘতম সড়ক (Longest Road of World) পথ হল প্যান আমেরিকান হাইওয়ে (Pan American Highway)। এই দীর্ঘ হাইওয়ের মোট দৈর্ঘ্য হল প্রায় ৩০ হাজার কিলোমিটার বা ১৯ হাজার মাইল। এই রাস্তাটির সমগ্র আমেরিকা জুড়ে বিস্তৃত। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এ এই রাস্তাটির নাম আছে এবং যা বিশ্বের দীর্ঘতম “মোটেরেবল রোড” নামে পরিচিত।
এই দীর্ঘতম সড়কপথটি (Longest Road of World) তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য ছিল উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার সমস্ত দেশগুলোতে একসাথে সংযুক্ত করা। এই দীর্ঘতম রাস্তাটি উত্তর অংশে কোস্টারিকা, মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা সহ নটি দেশের মধ্য দিয়ে গেছে। একই রকম ভাবে দক্ষিণ-প্যান আমেরিকান হাইওয়ে মোট পাঁচটি দেশের মধ্য দিয়ে গেছে। এই পাঁচটি দেশ হল আর্জেন্টিনা, চিলি, কলম্বিয়া, ইকুয়েডার, পেরু।
এই দীর্ঘতম মহাসড়কপথটি (Longest Road of World) সংযোগ স্থাপন করেছে দক্ষিণ আমেরিকার আরো চারটি দেশের সাথে। সেগুলি হল ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া এবং উরুগুয়ে। এই দীর্ঘ রাস্তায় আপনি দেখতে পাবেন জলবায়ুর বৈচিত্র্যময় দৃশ্য। এখানে দেখতে পাবেন ঘনবন, অনুর্বর তুন্দ্রা অঞ্চল এবং শুকনো মরুভূমি। এই রাস্তাটির কিছু অংশ শুষ্ক মৌসুমে চলাচল করার মতো।
পৃথিবীর দীর্ঘতম এই মহাসড়কপথটি অতিক্রম করতে আদৌ যে কত সময় লাগবে তা বলা মুশকিল। তবে আন্দাজ করে বলা যায় যে, যদি প্রতিদিন ৫০০ কিলোমিটার যাতায়াত করা যায় তাহলে ৬০ দিনে এই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করা সম্ভব। এই দীর্ঘ মহাসড়ক ১১৭ দিনের শেষ করেন কালরস সান্তামারিয়া নামের একজন সাইক্লিস্ট। তার এই কার্যসিদ্ধির জন্য তার নাম গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে জায়গা করে নিয়েছে।