বন্ধ হয়ে গিয়েছিল স্কুলের দরজা, রাজেশের শহীদের পরই পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত

হিমাদ্রি মণ্ডল : গত ১৫ই জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চীন সীমান্তে চীনা সেনাদের হাতে শহীদ হন বীরভূমের মহঃবাজারের বেলগড়িয়া গ্রামের বীর পুত্র রাজেশ ওরাং। আর তারপর থেকেই এখনো পর্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা রাজেশের স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে রয়েছেন। মাঝেমধ্যেই কেঁদে উঠছে তাদের প্রাণ। তবে প্রত্যন্ত এই গ্রাম নিয়ে প্রথম থেকেই নানান অভাব-অভিযোগের কথা শোনা যাচ্ছিল। এমনকি গ্রামের একমাত্র শিশু শিক্ষা কেন্দ্র দুজন পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ হয়েছিল। যে কারণে গ্রামের পড়ুয়াদের মেঠো পথে হেঁটে পড়াশোনা করতে যেতে হতো অন্যত্র। আর এভাবেই চলে আসছিল বছর ছয়েক ধরে। তবে এদিন এই সমস্যার অবসান ঘটলো।

শহীদ রাজেশ ওরাংয়ের আবেগ নাড়া দিয়েছে দেশের প্রতিটি বাসিন্দাদের, আর সেই আবেগে নাড়া পড়েছেন বীরভূম জেলার আধিকারিকরাও। আবেগ নাড়া দিয়েছে বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়ককে। যার পরেই শুক্রবার চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক ওই গ্রামে পৌঁছে শহীদ রাজেশের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গ্রামে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন এই স্কুল বন্ধ থাকার কথা। তারপরেই রাজেশের ছোটবেলার শিক্ষাকেন্দ্রকে ছয় বছর পর খোলার সিদ্ধান্ত নিলেন। আর এর আগে বারংবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও যা সম্ভব হয়নি তাই এবার সম্ভব হল।

বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান জানান, “গ্রামে এসে শুনলাম এখানকার ছেলেমেয়েদের নদী-নালা পার হয়ে অন্যত্র পড়তে যেতে হচ্ছে। তা আমরা শহীদ বীরের গ্রামের ছেলেমেয়েদের এই অসুবিধা দূর করতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রামের প্রাথমিক শিশু কেন্দ্রটি খুলে দেওয়ার চেষ্টা করব।”

আর এত বছর পর গ্রামের স্কুল নতুন করে খোলার কথা শুনতে পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা স্বাভাবিকভাবেই আনন্দিত। পুনরায় স্কুল খোলার বিষয়ে তারা জানান, “গ্রামের স্কুলটি নতুন করে আবার খোলা হলে আমাদের ছেলেমেয়েদের কষ্ট করে আর দূরে গ্রামে পড়াশোনা করতে যেতে হবে না। গ্রামে থেকেই তারা পড়াশোনা চালাতে পারবে।”