The mystery of the Bermuda Triangle is revealed: আপনারা কি জানেন বারমুডা ট্রায়াঙ্গল (Bermuda Triangle) আসলে একটি বড় রহস্য যা উদঘাটন করা সত্যি কষ্টকর। তাইতো এটি বিশ্বের সবথেকে রহস্যময় এলাকা। আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে অবস্থিত এই কাল্পনিক ত্রিভুজাকৃতি অঞ্চলটি আসলে দায়ী একের পর জাহাজ ও বিমানের নিরুদ্দেশের পিছনে। প্রায় একশো বছর ধরে নিখোঁজ হয়েছে ২০টি বিমান। বহু যুগ ধরে সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে থাকা এই রহস্যের অবশেষে সমাধান হল। জানেন আসলে কী রয়েছে রহস্যময় এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে?
একজন অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানী কার্ল ক্রুজেলেঙ্কির দাবি করেন যে, তিনি বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের (Bermuda Triangle) রহস্যভেদ করে ফেলেছেন। তাঁর মতে, ফ্লোরিডা, বারমুডা এবং পুয়ের্তোরিকোর মাঝে অবস্থিত এই রহস্যময়ী অংশে আবহাওয়া ঘন ঘন পরিবর্তিত হয়। এমনকি সমুদ্রের জলস্তর বারবার ওঠানামা করে। তার ফলেই দিকনির্ণয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। সেই কারণেই এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল যুগ যুগ ধরে মানুষের কাছে রহস্যময় হয়েই রয়ে গিয়েছে।
বিজ্ঞানী কার্ল ক্রুজেলেঙ্কির যুক্তি অনুযায়ী, এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল (Bermuda Triangle) কোনও রহস্যময় এলাকা নয়, এমনকি এর পিছনে কোনও অতিপ্রাকৃতিক ঘটনাও জড়িত নয়। মানুষ হয়তো বিশ্বাস করে যে এর পিছনে কোনো দ্বৈবশক্তির কারিকুরি কাজ করে। কিন্তু এমনটা একদম নয়। আসলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের নানা সম্ভাবনার জন্যই এখানে আবহাওয়ার ঘন ঘন পরিবর্তন হয়। তিনি আরও বলেন, যেভাবে জাহাজ এবং বিমান এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে নিখোঁজ হয়েছে তা কোনও নজিরবিহীন ঘটনা নয়। পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময় এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এটা খুবই সাধারণ প্রাকৃতিক ঘটনা এর পেছনে কোন দ্বৈবশক্তির হাত নেই।
অস্ট্রেলিয়ান এই বিজ্ঞানী বারমুডা ট্রায়াঙ্গল সম্পর্কে এরকম মন্তব্য করেছিলেন আজ থেকে প্রায় ছয় বছর আগে। ২০১৭ এর পর ২০২২ সালে আরেকবার এক ইন্টারভিউতে কার্ল ক্রুজেলেঙ্কি তাঁর যুক্তিগুলো সবার সামনে এনেছিলেন। তাঁর সেই ইন্টারভিউ ফের একবার সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। মানুষ বরাবরই প্রকৃতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে এবং প্রকৃতিকে হাতে নেওয়ার বৃথা চেষ্টা করেছে। যার জন্যই মানুষকে একাধিকবার সামনাসামনি হতে হয়েছে নানা রকম প্রাকৃতিক বিপর্যয় এর। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরেই বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে একাধিক জাহাজ, বিমান নিখোঁজ হয়েছে। বিজ্ঞানী কার্ল দাবি করেছেন যে, ১৯৪৫ সালে ফ্লাইট নম্বর ১৯ বিমানটিও এইভাবেই নিখোঁজ হয়ে যায়। অতল সাগরে তলিয়ে যাওয়ার পিছনে কোনওরকম দ্বৈবশক্তি কাজ করেনি।
বিভিন্ন সময় ধরে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে বহু হারিয়ে যাওয়া বিমান ও জাহাজ এবং অজস্র প্রাণহানির ঘটনা নিয়ে একাধিক মিথ তৈরি হয়েছে। অনেকে বলেন, এলিয়েন এসে জাহাজ বা উড়োজাহাজ উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়। কেউ আবার বলেন, এই সাগরের নিচে বড় দৈত্য আছে। কুসংস্কারের ঊর্ধ্বে উঠে বরাবরই বিজ্ঞানীরা এই মিথগুলিই ভাঙতে চাইছেন। বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, এই অঞ্চলের ম্যাগনেটিক ফিল্ডের কারণে কম্পাস সঠিকভাবে কাজ করে না। আবার বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের ওই এলাকাটি হ্যারিক্যানপ্রবণ বলেও মনে করা হয়। তাই পৃথিবীর সবচেয়ে সামুদ্রিক ঝড় প্রবণ এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম ফ্লোরিডা। আর বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ফ্লোরিডা ঘেঁষে অবস্থান করে। তাই এই তথ্য একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়।