নিজস্ব প্রতিবেদন : টিকাকরণের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হলেও এখনো করোনার দাপট কমেনি। সেই কথাই পুনরায় জানান দিতে শুরু করেছে। দেশে ফের হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যা রীতিমতো উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে ভারতের একাধিক জায়গায় নতুন করে লকডাউন এবং নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে সোমবার যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫,৫১০ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১,২৮৮ জন। পাশাপাশি প্রাণ হারিয়েছেন ১০৬ জন। আর এই আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে মহারাষ্ট্রে গত পাঁচ দিন ধরে টানা ৮ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেন।
তবে শুধু মহারাষ্ট্র নয়, পাশাপাশি তামিলনাড়ু সহ আরও একাধিক রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে এই আক্রান্তের সংখ্যা। এমত অবস্থায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় নাইট কার্ফু জারি করেছেন। পাশাপাশি বেশ কিছু এলাকায় সপ্তাহান্তের কার্ফু জারি করা হয়েছে। রাজ্যের বাসিন্দাদের বারংবার মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সতর্ক করেছেন তিনি।
অন্যদিকে পুনেতে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে একাধিক জায়গায় বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ১৪ই মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল, কলেজ এবং কোচিং সেন্টার। নাইট কার্ফু জারি করা হয়েছে রাত এগারোটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত। আর এই সময় কেবলমাত্র জরুরী পরিষেবা ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুনের মেয়র মুরলিধর মোহল।
পাশাপাশি বিদর্ভের ৫ এলাকায় সপ্তাহে দু দিনের জন্য লকডাউন জারি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সেই সকল এলাকায় দোকান হোটেল-রেস্তোরাঁ এবং সরকারি অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তামিলনাড়ুতেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে। আগাম সর্তকতা হিসাবে এই পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে। এখানে কনটেইনমেন্ট জোন এলাকায় ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত কড়া লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। পাশাপাশি প্রত্যেককে কোভিড বিধি মেনে চলার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
[aaroporuntag]
তবে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতির বেশ উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। শেষ রিপোর্ট অনুযায়ী একদিনে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯২ জন। আর এই ১৯২ জনের মধ্যে কলকাতারই বাসিন্দা ৭০ জন। আর এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, যেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ জন।