নিজস্ব প্রতিবেদন : বক্স অফিসে প্রতিদিন নিজের আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে RRR। এস এস রাজামৌলি, রামচরণ এবং জুনিয়র এনটিআরদের এই ছবি কয়েকশো কোটি টাকার ব্যবসা ইতিমধ্যেই করে ফেলেছে। এই ছবির এত সফলতার মূলে রয়েছে ভিএফএক্স এবং জমজমাট গল্প কাহিনী। বিশ্বজুড়ে এই সিনেমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শকরা। যে কারণে এই সিনেমা হাজার কোটি টাকার ব্যবসা ছুঁতে আর বেশী সময় নেবে না।
RRR সিনেমা হলেও এই সিনেমার কাহিনী সত্য ঘটনা অবলম্বনে। এই সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে থাকা রাম ও ভীম, যাদের দুজনকে স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে দেখানো হয়েছে। ১৯২০ সালে ব্রিটিশ শাসন চলাকালীন প্রেক্ষাপটকে তুলে ধরে এই ছবি তৈরি করা হয়েছে। এই ছবি তৈরি করা হয়েছে ইতিহাস শ্রেষ্ঠ ২ স্বাধীনতা সংগ্রামের জীবন কাহিনীকে অবলম্বন করেই।
আল্লুরি সীতারামা রাজু : ১৯২২ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে নেমেছিলেন। তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাম্পা বিদ্রোহের। মাদ্রাজ জঙ্গল আইনের বিরোধিতা করে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন তিনি। জঙ্গলমহলের উপর আদিবাসীদের আধিপত্য রক্ষা করার জন্য তার এই লড়াই ছিল। বিতর্কিত এই আইনের জন্য জঙ্গলে স্বাধীনতা হারিয়েছিলেন আদিবাসীরা এবং ঐতিহ্যবাহী পোডু চাষের পদ্ধতি করতে পারছিলেন না তারা। এমত অবস্থায় অন্যান্য ফসলের চাষ ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে করতে হতো।
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এই বিদ্রোহ নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আল্লুরি সীতারামা রাজুকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ১৯২৪ সালে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে প্রকাশ্যে সকলের সামনে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তার মৃত্যুর পরেই অবসান ঘটে সশস্ত্র রাম্পা বিদ্রোহের। তবে তাঁর অসীম সাহস এবং বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তাকে উপাধি দেওয়া হয় ‘মান্যম ভীরুডু’ বা ‘বন বীর’।
কোমরম ভীম : স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে কোমরম ভীমের বেশ নামডাক রয়েছে। তিনি ব্রিটিশদের কারাগার থেকে পালিয়ে আসামের একটি চা বাগানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি আল্লুরি বিদ্রোহ সম্পর্কে জানতে পারেন এবং গোন্ড উপজাতিকে রক্ষা করার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। ১৯০০ শতাব্দীর গোড়ার দিকে হায়দ্রাবাদের শেষ নিজামের বিরুদ্ধে এবং স্থানীয় জমির মালিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কারণ সেই সময় শেষ নিজাম যেভাবে স্থানীয় কৃষকদের উপর কর ধার্য করেছিলেন তাতে তাদের জীবন-জীবিকা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছিল।