“কেন্দ্রের চাল বদলে দেয় তৃণমূল, অনুব্রত মন্ডল অশিক্ষিত-বর্বর”, শ্যামাপদ মণ্ডল

Madhab Das

Updated on:

Advertisements

হিমাদ্রি মণ্ডল ও লাল্টু : বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতিতে যখন দীন দরিদ্র মানুষেরা খিদের জ্বালায় দিন কাটাচ্ছেন, ঠিক তখন পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা বারবার রেশন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন। তবে শাসকদলও পিছিয়ে নেই, গতকাল শাসকদলের দন্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল কেন্দ্রের চালের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানান, “কেন্দ্রের পাঠানো চাল নিকৃষ্টমানের, মানুষের খাবার যোগ্য নয়। ওরা কি পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে গরু-ছাগল ভাবে?”

Advertisements

Advertisements

আর অনুব্রত মণ্ডলের সেই প্রশ্নের জবাব রবিবার দিতে দেখা গেল বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডলকে। শ্যামাপদ মন্ডল এদিন সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, “কেন্দ্র থেকে যে চাল পাঠানো হয় তা ১ নম্বর, উৎকৃষ্ট মানের। আর এখানকার তৃণমূল নেতারা সেই চালের বস্তা পরিবর্তন করে অথবা লরিকে লরি গায়েব করে নিম্নমানের চাল সাপ্লাই করে। আর কেন্দ্রের পাঠানো ভাল চাল অনুব্রত বাবু ও তার দলবলের রাইস মিল থেকে সাপ্লাই হয়। সাধারণ মানুষ যেন কেন্দ্রের পাঠানো উৎকৃষ্টমানের চাল সম্পর্কে জানতে না পারেন তার জন্য গতকাল তিনি নাটক বাজি করেছেন।”

Advertisements

এছাড়াও গতকাল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এই চাল প্রসঙ্গে রাজ্যের বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা ও সায়ন্তন বসু সম্পর্কে কটাক্ষ করে বলেন, “রাহুল সিনহা দাঁত খিঁচিয়ে খিঁচিয়ে বাঁদরের মত কথা বলেন। বাঁদর যেমন দাঁত খেঁচায়, সেরকম দাঁত খিঁচিয়ে খিঁচিয়ে কথা বলেন। তা আপনি বলুন, দাঁত খেঁচো, এই চালটা কি চাল! পাশাপাশি টেকো সায়ন্তন বসুকে জিজ্ঞেস করুন এই চালটা কি চাল! আর রাজ্যপাল, মানুষের বয়স হলেই ভিমরতি ঘটে।”

এই প্রসঙ্গ তুলেও এদিন শ্যামাপদ মন্ডল পাল্টা অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করে বলেন, “আমাদের দলের নেতাদের সম্পর্কে তিনি কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। আমি মনে করি সমাজের কোনো ভদ্র মানুষ, শিক্ষিত মানুষ, সভ্য কোনো মানুষ সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করতে পারেন না। উনি একজন এমন অশিক্ষিত বর্বর মানুষ, উনার শিক্ষা নেই অপর দলের নেতা সম্পর্কে কেমন ভাবে কথা বলতে হয়। তাই তিনি রাহুল সিনহা ও সায়ন্তন বসু সম্পর্কে এমন খারাপ মন্তব্য করেছেন।”

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্য বিজেপির নির্দেশে বীরভূম জেলা বিজেপির কর্মীরা তৃণমূলের চাল দুর্নীতি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান সিউড়ি ও দুবরাজপুরে। এই বিক্ষোভ কোথাও কোনো রকম জমায়েত বা লকডাউনের আইন ভঙ্গ করে নয়। বরং বিজেপি কর্মীরা নিজ নিজ বাড়ি থেকেই প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যেসকল প্ল্যাকার্ডে তৃণমূলের দুর্নীতির স্লোগান তুলে ধরা দেয়। বিক্ষোভের পর বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল জানান, “আগামী দিনে যদি এই দুর্নীতির সমাধান না ঘটালে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবে বিজেপি।”

অন্যদিকে বিক্ষোভের পর দুবরাজপুর শহর বিজেপি সভাপতি সন্দীপ আগরওয়াল জানান, “চাল চুরি, করোনা রোগীদের ঠিকমতো চিকিৎসা না করানো, কেন্দ্রের পাঠানো ২০০ কোটি টাকার ঠিকঠাক ব্যবহার হচ্ছে না। এই সকল দুর্নীতির বিরুদ্ধে আজ আমরা ঘরে বসেই বিক্ষোভ দেখালাম রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে।”

Advertisements