নিজস্ব প্রতিবেদন : ৫ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে পালন করা হয় শিক্ষক দিবস (Teacher’s Day)। দেশের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই দিনটি সম্মানের সঙ্গে পালন করা হচ্ছে। তবে শিক্ষক দিবসের দিনেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Bandopadhyay) রীতিমত শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল। একটি কাজ করলেই বেতন বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
শিক্ষক দিবস উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় মঙ্গলবার উপস্থিত হয়েছিলেন কলকাতার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে। এই অনুষ্ঠানে শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শুরু করে নানান বিষয় নিয়ে তিনি নিজের বক্তব্য পেশ করেন। বক্তব্য রাখার সময় তিনি আগের বেশ কিছু ভুল মন্তব্য প্রসঙ্গে জানান, ‘ভুল করাটা অধিকার।’ তবে এই মন্তব্যের পাশাপাশি তিনি তার নিজের জায়গা থেকে এক বিন্দু সড়েন নি।
অন্যদিকে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করে দেওয়ার যে হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন তার পিছনে মূল কারণ হিসাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রাজ্যপাল। সেই প্রসঙ্গ বলতে গিয়ে এদিন শিক্ষক দিবসের মঞ্চ থেকেই তিনি রাজ্যপালকে একহাত নেন। পাশাপাশি তিনি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে রাজ্যপাল নাকি ভেঙ্গে দিচ্ছেন।
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “মধ্যরাতে হঠাৎ করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বদলে গেল। ১৬ জনকে টপকে। হঠাৎ শুনলাম কেরলের একজন IPS অফিসার, যার শিক্ষায় কোনও অভিজ্ঞতাই নেই, তাকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর করে দিয়েছে। ১০ বছর প্রফেসারি করলে তবে সে প্রিন্সিপাল বা ভাইস চান্সেলর হতে পারে। রবীন্দ্রভারতীতে করে দিয়েছে একটা এক্স জাজ। ওকে আমি চিনি, কারণ ও আমার সাথে পড়েছে এমএ। সে তো প্রফেসারি করেনি। সে লিগাল কাজ করেছে। পুরো সিস্টেমটাকে কোলাপ্স করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত চলছে। এই চক্রান্ত আমরা মানব না।”
এই সকল বক্তব্য রাখার সময়ই তিনি জানান, “আপনি যদি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তক্ষেপ করেন, আর কোনও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় যদি আপনার কথা শুনে চলে আমি কিন্তু অর্থনৈতিক বাধা তৈরি করব। এখানে টিট ফর ট্যাট। নো কম্প্রোমাইজ। দেখি আপনি কোন কলেজ, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাইনে দেন। মধ্যরাতে বিজেপির একটা প্রেসিডেন্ট না কে তাকে করে দিল ভাইস চান্সেলর। হোয়াট ইজ দিস?”