The smallest railway line in India, the fare is only 710 rupees to go: ভারতের অধিবাসীদের কাছে ট্রেন যাত্রার মত সহজলভ্য এবং সস্তার ভ্রমণ আর কোন কিছুতে হয় না। দীর্ঘপথ থেকে শুরু করে কম দূরত্বের পথ সবকিছুই আপনি ট্রেনের মাধ্যমে করতে পারবেন। এদেশে এমন কিছু ট্রেন আছে যা ৩০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ ভ্রমণ করে। এই দীর্ঘযাত্রা অতিক্রম করতে ট্রেনটির সময় লাগে ৭০ ঘণ্টারও বেশি। আপনারা নিশ্চয়ই দীর্ঘ রুটের ট্রেন হিসেবে হিমসাগর এক্সপ্রেস এবং বিবেক এক্সপ্রেসের নাম শুনেছেন, যা সত্যিই খুব জনপ্রিয়। ভারতের সবথেকে ছোট রেলপথ (Shortest Train Route) সম্পর্কে আদৌ কি কখনো শুনেছেন? যার দূরত্ব মাত্র তিন কিলোমিটার।
শুনলে অবাক লাগলেও ঘটনাটি একেবারে সত্যি। ভারতের সবথেকে ছোট রুটের রেলপথ (Shortest Train Route) হলো এটি, এই রেলপথের দৈর্ঘ্য মাত্র তিন কিলোমিটার। তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো এখন জানতে হবে এই ছোট রুটের রেল পথটি কোথা দিয়ে যাচ্ছে? কত ভাড়া লাগে এই যাত্রাটা অতিক্রম করতে? এই রেল ট্র্যাকের উপর দিয়ে কোন ট্রেন চলে?
সাধারণ মধ্যবিত্তের কাছে ট্রেন যাত্রার থেকে বড় সুবিধার যাত্রা আর কোথাও হয় না। যা অবশ্যই তার সাধ্যের মধ্যে। এখন জেনে নিতে হবে ভারতের সবথেকে ছোট রুটের রেলপথ (Shortest Train Route) কোথায় অবস্থিত? এই রেলপথ কি অবস্থিত ভারতের মহারাষ্ট্রে। এই রুটে নাগপুর এবং আজনির মধ্যে মোট দূরত্ব হলো ৩ কিমি। আর এই রুটে মোট ৪ থেকে ৫টি ট্রেন চলাচল করে।
ভাবছেন হয়তো এই ছোট রুটের রেলপথে (Shortest Train Route) তেমন কোন মানুষ চলাচল করে না। কিন্তু প্রতিদিন এই রুট দিয়ে বহু মানুষ এই তিন কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। সব রকম ট্রেন না চললেও নির্দিষ্ট কয়েকটি ট্রেন এই রুট দিয়ে চলাচল করে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, নাগপুর-পুনে এক্সপ্রেস (12136), সেবাগ্রাম এক্সপ্রেস (12140), বিদর্ভ এক্সপ্রেস (12106) এবং নাগপুর-পুনে গরীব রথ (12114)।
আপনি যদি ট্রেনের ভাড়া কিংবা ভ্রমণের সময় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে IRCTC-এর টিকিট বুকিং সাইটে খোঁজ করতে হবে। সাইট অনুসারে আপনি জানতে পারবেন যে, এখানে স্লিপার-১৪৫, থার্ড এসি- ৫০৫ এবং সেকেন্ড এসির ভাড়া ৭১০ টাকা। তাহলে ভারতের সবথেকে ছোট রেলপথে যাত্রার আনন্দ উপভোগ করতে গেলে আসতে হবে মহারাষ্ট্রে।