Plastic Recycling Project: বর্তমানে আমাদের সবথেকে বড় সমস্যা হলো দূষণ। বিভিন্ন প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্যের কারণেও পরিবেশে দূষণের মাত্রা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্লাস্টিক দূষণ যদি নিয়ন্ত্রণে না আনা যায় তাহলে আমাদের পরিবেশের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে। আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা করা হবে কিভাবে প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্যকে রিসাইকেল করা যায় এবং এর জন্য কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার।
প্লাস্টিক দূষণ কমাতে ইন্ডিয়ান প্লাস্টিক্স ফেডারেশন (আইপিএফ) ও একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতায় রাজ্য সরকার খুব শীঘ্রই চালু করতে চলেছে পাইলট প্রজেক্ট (Plastic Recycling Project)। সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে হাওড়ায় বাড়ি থেকে প্লাস্টিকের বর্জ্য কিনে সেটিকে রিসাইকেল করা হবে। আইপিএফ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বুধবার এই কথা জানিয়েছেন পরিবেশ সচিব তথা পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য সচিব রাজেশ কুমার।
তিনি ঘোষণা করেন যে, সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা হচ্ছে একটি পাইলট প্রজেক্ট। আসলে কি এই প্রজেক্ট? সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে হাওড়ায় লোকের বাড়ি থেকে প্লাস্টিক পয়সা দিয়ে কেনা হবে। সেই প্লাস্টিক বর্জ্য পরে রিসাইকেল করা হবে। যদি হাওড়ায় এই প্রজেক্ট একবার সফল হয়ে যায় তাহলে রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতেও এটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, নন-ফুড গ্রেড প্লাস্টিক পণ্য তৈরিতে রিসাইকলড প্লাস্টিকের ব্যবহার সরকার বাধ্যতামূলক করায় প্লাস্টিক বর্জ্যের চাহিদা বিরাট বেড়েছে।
আরো পড়ুন: আর লাগবে না ইমেইল ওটিপি, জমির খাজনা দেওয়া এখন আরও সহজ
ম্যাগপেট পলিমার্স প্রাইভেট লিমিটেড হাওড়ায় এই পাইলট প্রজেক্টটি চালাবে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সহযোগিতায়। সংস্থার প্রেসিডেন্ট ও সিইও ইন্দ্রনীল গোহো বলেন, এবার থেকে বড় হাউজ়িং সোসাইটি, শপিং মল, বাজার বিভিন্ন জায়গায় রাখা হবে স্মার্ট বিন (Plastic Recycling Project)। সাধারণ মানুষ এবার থেকে এখানেই তাদের প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলবেন। কাগজকুড়ানিরা এইসব প্লাস্টিক বর্জ্য কুড়িয়ে নিয়ে এসে বিক্রি করবে সরকারের কাছে। একই ভাবে কাবাডিওয়ালারাও বাড়ি থেকে প্লাস্টিকের বর্জ্য কিনে নিয়ে বিক্রি করতে পারবেন। এই প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকল করা হবে।
আগামী দুই তিন মাসের মধ্যেই হয়তো চালু হয়ে যাবে খড়গপুরে গড়ে ওঠা প্লাস্টিকের বোতল রিসাইকল করার কারখানা যার জন্য ম্যাগপেট ২৫০ কোটি টাকা লগ্নি করেছে ইতিমধ্যেই। হাওড়াতে চালু হওয়া এই পাইলট প্রজেক্টে কাগজকুড়ানিদের অন্যতম ভূমিকা রয়েছে। কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের উদ্দেশ্যে এই বিষয়ে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে একটি এনজিও-র। এরপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে হাওড়ার কোথায় প্রকল্পটি শুরু করা হবে। হাওড়ার পাইলট প্রকল্প (Plastic Recycling Project) সফল হলে শুধুমাত্র পৌরসভা এলাকায় নয় বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকাতেও এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।