The state government has taken a big decision to increase tourism in Sandakphu: বাঙালির কাছে অত্যন্ত প্রিয় জায়গা হলেও নর্থ বেঙ্গল। গরমের ছুটি হোক কিংবা পুজোর ছুটি সুযোগ পেলে একবার মানুষ নর্থ বেঙ্গল অবশ্যই ঘুরতে যাবে। সেখানকার উল্লেখযোগ্য ডেস্টিনেশনগুলি হল দার্জিলিং, কর্শিয়াং, কালিম্পং আরো অনেক। তবে কয়েক বছর ধরে পর্যটকদের হট ডেস্টিনেশন এর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে সান্দাকফু (Sandakphu)। বহু পর্যটক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ছে মানেভঞ্জনের দিকে। এখানকার প্রধান আকর্ষণ হল রুক্ষ ভূমিরূপের মাঝখান দিয়ে বরফ ঢাকা রাস্তা, হালকা ট্রেকের হাতছানি, একসঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা, মাউন্ট এভারেস্ট, লোৎসে এবং মাকালু শৃঙ্গ দর্শন। সবকিছু মিলিয়ে সান্দাকফু জমে ক্ষীর। সেই কারণে এই পর্যটন কেন্দ্রকে আরও উন্নত করতে এবং নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য বড় পরিকল্পনা নিতে চলেছে নবান্ন।
বর্তমানে সান্দাকফুতে (Sandakphu) সব থেকে বড় সমস্যা হল বিদ্যুৎ সমস্যা। বিদ্যুতের সমস্যা মিটানোর জন্য এখানে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ সংযোগ যাতে অব্যাহত থাকে সেই কারণে নির্মাণ করা হবে একটি পাওয়ার সাবস্টেশন। সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে যে, এর জন্য বিদ্যুৎ দফতর বরাদ্দ করেছে ৩৫ লাখ টাকা। তবে রাজ্য সরকার শুধুমাত্র বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতির কথা চিন্তাভাবনা করেছেন তা নয়, আরো বহু সমস্যার সমাধানের কথাও চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। সমস্ত এলাকাটির উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। পর্যটকদের থাকার জন্য একাধিক হোম স্টে, অতিথি নিবাস নির্মাণেরও কথা ভাবা হচ্ছে। ফালুট, সান্দাকফু এবং গৈরিবাশায় তাঁবু এবং ক্যাম্প তৈরি করার কথা ভাবা হয়েছে।
শুধুমাত্র পর্যটকদের সুবিধার্থেই টংলু এবং চিত্রেতে তৈরি করা হচ্ছে একাধিক কটেজ। সম্প্রতি টংলুতে একটি গেস্ট হাউস নির্মাণের কাজ হচ্ছে। কাজটি যাতে আরো তাড়াতাড়ি হতে পারে সে বিষয় নজর রাখা হচ্ছে। বহু পর্যটক সান্দাকফুতে (Sandakphu) রাত্রি নিবাস করে, তাদের খাওয়া দাওয়ার যাতে কোন রকম সমস্যা দেখা না দেয় সে বিষয়ে নজর রাখছে রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকার শুধুমাত্র নতুন কটেজ, হোম স্টে নির্মাণের ব্যাপারেই যে উদ্যোগী তা নয় প্রকৃতি ও পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখার বিষয়টিকেও মাথায় রাখা হচ্ছে। প্রশাসন করা ব্যবস্থা নিয়েছে যে, যাতে পর্যটক বাড়লেও সান্দাকফুটে আবর্জনা কোনোভাবে না বাড়ে। বন দফতরের কাছে এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ পৌঁছে গেছে। সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্ক এবং তার আশেপাশের অঞ্চল যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে সে ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।