রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteer) কী ভূমিকা? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের তরফে একটি বিস্তারিত গাইডলাইন প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High court)। ২৯ মার্চের মধ্যে এই গাইডলাইন প্রকাশ করতে বলা হয়েছিল। সেইমতো সার্কুলার জারি করল রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের নির্দেশ মাফিক কোন কোন কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যবহার করা যাবে, সেই সম্পর্কিত তথ্য স্পষ্ট নথিবদ্ধ করেছে রাজ্য পুলিশ।
এক সময় সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer) দের সিভিক পুলিশ বলেই সকলে ডাকতেন। তবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ‘পুলিশ’ তকমা উঠে গেছে বহুদিন। তারপরও অনেকে এখনও ‘সিভিক পুলিশ’ বলে ডাকেন। বস্তুত, পুলিশের সহায়তা করার জন্যই এই বাহিনীর জন্ম হয়েছিল বাংলায়। তখনও নামে ‘পুলিশ’ ছিল। পরে তা বদলে যায়।
তবে পুলিশের সঙ্গে থাকতে থাকতে সিভিক ভলান্টিয়াররা (Civic Volunteer) যে অনেকে নিজেদের পুলিশের সমকক্ষ ভাবতে শুরু করেন, তার নজিরও বাংলায় বড় কম নেই। আনিস খান হত্যাকাণ্ড তো অনেক বড় বিষয়, আরও বহু বিতর্কে জড়িয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নাম। মঙ্গলবার সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজ নিয়ে রাজ্য নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়েছে আদালতে।
আর তারপরই রাজ্য পুলিশের আইজি-কে এক গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। যেখানে আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে গাইডলাইন তৈরি করে আদালতে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কী ভূমিকা? তা জানতে চেয়েছিল আদালত। শুধু তাই নয়, কোন কোন কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা হয়, তাও রাজ্যের কাছে জানতে চান বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
রাজ্য পুলিশের তরফে সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, আইন শৃঙ্খলাজনিত কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজ তাদের দেওয়া যাবে না। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুলিশকে সহযোগিতা করবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। পাশাপাশি বিভিন্ন উৎসবে ভিড় সামলাতে, বেআইনি পার্কিং রুখতে এবং মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুলিশকে সাহায্যকারীর ভূমিকায় থাকবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। এবার থেকে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলাজনিত কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না। আর সার্কুলারে থাকা এই সকল নির্দেশিকাই সাধারণ মানুষের নজর কেড়েছে।