নিজস্ব প্রতিবেদন : ভুটান সুন্দরী, ভুটান সুখী। গুণের শেষ নেই এই ভুটানের। আর এসব ছাড়াও এবার যখন বিশ্ব করোনার দাপটে নাজেহাল সেই সময়ই দৃষ্টান্ত তৈরি করল এই ভুটানই। করোনাকে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশগুলি দমাতে না পারলেও একপ্রকার দমিয়ে দিয়েছে ভুটান। এযাবত করোনার দুই ঢেউয়ে সেখানে মৃত মাত্র ১। যা বিশ্বে দৃষ্টান্ত তৈরি করার দাবিই রাখে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই নাজেহাল করেছে ভারতকে। শুধু ভারতই না পাশাপাশি একই অবস্থা ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে। তবে এই মুহূর্তেই যেন করোনা মানচিত্রের বাইরে যেন ভুটান।
জানা গিয়েছে এখনো পর্যন্ত ভুটানে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তিনি হলেন বছর চৌত্রিশের এক যুবক। তিনি গত জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখ মারা যান। ওই যুবক লিভার ও কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে থিম্পুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ওই যুবককে বাঁচানো যায়নি। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আর তিনি ছিলেন ভুটানের প্রথম এবং এখনো পর্যন্ত তিনি শেষ ব্যক্তি যিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
বর্তমানে ভুটানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা গড়ে ১১। তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের কাছে কৌতুহল যাচ্ছে ভুটানের মত একটি ছোট দেশ, যারা পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভরশীল তারা কিভাবে করোনাকে নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হলো। তবে শুধু ভুটান নয়, ভুটানের পাশাপাশি একই রকমভাবে করোনাকে নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে ভিয়েতনাম, রাওয়ান্ডা, সেনেগালের মতো দেশও।
কিভাবে এমন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করল ভুটান?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন জনস্বার্থে স্বাস্থ্য পরিষেবায় জোড় দেওয়ার কারণেই ভুটান এমন অসাধ্য সাধন করতে পেরেছে। সে দেশে রয়েছে মাত্র ৩৩৭ জন চিকিৎসক এবং ৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী। কিন্তু এই অল্প সংখ্যক চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী দিয়েই সুষ্ঠু প্রশাসনিক পরিকল্পনার মাধ্যমে তারা এই সাফল্য অর্জন করেছে।
[aaroporuntag]
ভুটানে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা শুরু হয় ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি। সেই তখন থেকে চিহ্নিত করা শুরু হয় আক্রান্ত এবং আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের। ভুটানে নিয়ম রয়েছে ১৪ থেকে ২১ দিনের কোয়ারেন্টাইনের। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণে পরীক্ষা ভুটানকে এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।