Kalighat Temple: শুধু স্বর্ণমন্দির নয়, এবার কালীঘাট মন্দিরও মুড়ে ফেলা হবে সোনায়

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির দেশ বিদেশের বহু পর্যটকদের কাছেই আকর্ষণের অন্যতম মন্দির। এই মন্দিরটি মূলত সোনা দিয়ে মোড়া থাকার কারণে অনেকের কাছেই আলাদা আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে রয়েছে। তবে এবার শুধু পাঞ্জাব নয়, পশ্চিমবঙ্গের কালীঘাট মন্দিরকেও (Kalighat Temple) সোনা দিয়ে মুড়ে ফেলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। ইতিমধ্যেই এই মন্দিরের সংস্কার কাজ চলছে আর সেই সংস্কার কাজ চলাকালীনই এমন খবর সামনে এসেছে।

একদিকে যখন অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে আলাদা তৎপরতা, ঠিক সেই সময় কালীঘাট মন্দিরকে নিয়ে নতুন পরিকল্পনার বিষয়টি সামনে আসতেই বাংলার বাসিন্দাদের মধ্যে আলাদা প্রাপ্তির অপেক্ষা শুরু হয়েছে। কালীঘাট মন্দির যদি সত্যিই সোনা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয় তাহলে এর আকর্ষণ আরও বেড়ে যাবে। আর সেই আকর্ষণকে ঘিরে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের অনেক উন্নতি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

কালীঘাট মন্দির সংস্কার করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুকেশ আম্বানির সংস্থাকে। মন্দির সংস্কারের পাশাপাশি এখানে আকর্ষণ বৃদ্ধি করার জন্য দক্ষিণেশ্বরের মত তৈরি করা হবে স্কাইওয়াক। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে, কালীঘাট মন্দিরের চূড়া ৫০ কেজি সোনা দিয়ে মুড়ে ফেলা হবে। কালীঘাট মন্দিরের চূড়া সোনা দিয়ে মুড়ে ফেলার পাশাপাশি মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে শুরু করে নাট মন্দির, মূল মন্দির সব সংস্কার করা হবে।

আরও পড়ুন 👉 বদলে যাচ্ছে কালীঘাট মন্দির, রূপে-গুনে আম্বানির হাত ধরে আসছে নয়া চমক

কালীঘাট মন্দির সংস্কারের প্রয়োজন দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। প্রথমদিকে মন্দিরটি সংস্কারের দায়িত্ব ছিল কলকাতা পৌরসভার। পরে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব তুলে দেন আম্বানিদের হাতে। সংস্কারের কাজ দেড় বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও তা করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে উস্মা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে।

তবে এখন আম্বানিদের তরফ থেকে এই মন্দির সংস্কারের কাজ জোরকদমে চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই স্কাইওয়াক এবং মন্দিরে প্রবেশের মূল পথ চওড়া করার জন্য মন্দিরের সামনে থাকা দোকানীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সংস্কারের কাজ এখন ৬০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজ খুব অল্প সময়ের মধ্যে সেরে ফেলা হবে বলেও জানা যাচ্ছে। এরই মধ্যে ৫০ কেজি সোনা দিয়ে মন্দিরের চূড়া মুড়ে ফেলার বিষয়টি সামনে এসেছে।