নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার যুগ আমাদের অনেক কিছুই নতুন দেখালো। আমরা কী পারি আর কী পারি না, সেটাও বুঝে গেলাম এই সময়ে। ধনী হোক অথবা গরিব রোগ, অতিমারী সকলের ক্ষেত্রেই সমান, এই আপ্ত বাক্যটি আমরা শিখে গেছি। আমরা শিখে গিয়েছি একা একা বাঁচতে, দূরত্ব বজায় করে চলতে। আর সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার শিক্ষাও পেয়েছি এই করোনার যুগে।
এর সাথে সাথে আরও একটা জিনিস আমরা দেখলাম করোনার আবহে দূরত্ব বজায় রেখে বিবাহ। করোনার আবহে মুখে মাস্ক পরে বিয়ে করার উদাহরণ প্রচুর দেখা গেছে। কিন্তু লাইফ সাপোর্ট নিয়ে বিয়ে করতে এর আগে দেখা যায় নি কখনো। এরকমটা চিরকাল সিনেমাতেই শোনা যেত। কিন্তু রুপোলি পর্দার গল্পগুলো তো বাস্তবের থেকেই উঠে আসে, এগুলো আমরা প্রায় ভুলেই যাই।
কিন্তু সম্প্রতি লাইফ সাপোর্ট নিয়ে একটি বিয়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তবে এই বিয়ের পিছনের গল্পটা অন্যান্য সকল বিয়ের থেকে একেবারে আলাদা। সেই গল্পটা সিনেমার থেকেও অনেক বেশি যন্ত্রণার।
দুজনের বিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছিল। জুলাই মাসেই হয়ে যেত শুভ পরিণয়। কিন্তু বাদ সাধল করোনা। প্রেমিকের শরীরে করোনা হয়। জুলাই মাসের ১৬ তারিখ ছেলেটি করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর দিনদিন অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। ২০ দিন কেটে গেলেও অবস্থার উন্নতি হয় না কোনো।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হবে ছেলেটিকে।
ছেলেটির বেঁচে থাকার আশা যখন প্রায় নেই বললেই চলে তখন প্রেমিকা সিদ্ধান্ত নেয় সে তার জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। সে বিয়ে করবে তার প্রেমিককে। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়।
https://www.facebook.com/kens5/videos/1220024538355273/
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় অনুমতি দেন। আর তারপর ১১ই আগস্ট হাসপাতালেই বিয়ে হয় ওই যুবক-যুবতীর। হাসপাতলে লাইফ সাপোর্ট নিয়ে মুখে মাস্ক নিয়ে বর বিয়ে করছেন।এই ঘটনা প্রেমের সত্যতাকেই তুলে ধরে।
আজকের এই মেকি যুগেও ভালোবাসা আছে তা এই ভিডিওটিই প্রমাণ করলো। মিউনিজ (তরুণীর নাম) লেইম্যানের (তরুণের নাম) ভালোবাসার গভীরতাকে অনুভব করে নেটাগরিকরা উভয়কেই শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন। এইভাবেই করোনাকে হারিয়ে জিতে যাক ভালোবাসা।