Modi VS Nehru: নেহেরুই ছিলেন শেষ, তারপর মোদি! স্বাধীন ভারতে আর কেউ নেই দুজনের ধারেকাছে

Prosun Kanti Das

Published on:

There are similarities between Modi and Nehru, though there are many differences: আজ অর্থাৎ ৯ই জুন ঠিক সন্ধে ৭টা বেজে ১৫ মিনিটে যখন ঘড়ির কাটায় টিকটিক করবে, সেই সময় রাইসিনা হিলসে তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন নরেন্দ্র মোদি এ বছর টার্গেট ছিল ‘৪০০ পার’। এমনকি বহু বছরের কল্পিত রামমন্দির অযোধ্যায় স্থাপন করার পর সারা ভারতবর্ষের ঢি ঢি পড়ে যায় যে নরেন্দ্র মোদি রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করেই স্ট্র্যাটেজি সাজিয়েছেন এ বছরের মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেওয়ার। তবে সমস্ত জল্পনা কল্পনা ২৪০ এই থেমে যায়। অনেকেই মোদিজীর সঙ্গে তুলনা করে বসেছেন নেহেরুর (Modi VS Nehru)। তাই আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা করবো দুজনের নেতৃত্ব সম্পর্কে।

ভারতীয় সাম্রাজ্যের সময়কালে সবুজে ঘেরা দক্ষিণে ব্রিটিশরা তাদের কমান্ডার-ইন-চীফের জন্য তিন মূর্তি একটি বাড়ি তৈরি করেছিল। বাড়ির ঠিক দ্বিতীয় তলায় বারান্দা সহ একটি লম্বা, সাদা ঔপনিবেশিক ভবন ছিল। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার পর থেকে এটি স্বাধীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর বাড়ি ছিল, যিনি এটিকে তাঁর সরকারি বাসভবন বানিয়েছিলেন। ১৯৩৬ সালে তার স্ত্রী কমলাকে হারিয়ে, তিনি এখানে তার মেয়ে ইন্দিরার সাথে থাকতেন। তার দুই নাতি, রাজীব এবং সঞ্জয় গান্ধী, যারা সেই সময় বড় বাগানে ঘোরাফেরা করতেন।

২৭শে মে, ১৯৬৪ সালে নেহরুর মৃত্যুর পর, তিন মূর্তি হাউসটিকে একটি জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়। যেখানে দর্শকরা কাঠের মেঝেতে হেটে তার বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখার সুযোগ পেত। সঙ্গে, তার বসার ঘর, তার শয়নকক্ষ এমনকি তার মৃত্যুশয্যাও দেখা যেত। নেহেরু একজন পাণ্ডিত মানুষ ছিলেন, রাজনৈতিক নেতার চেয়েও বেশি দার্শনিক।  

অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদি খুবই নম্র-ভদ্র পরিবার থেকে এসেছেন। তিনি শৈশবকালে খুবই কষ্টে জীবন যাপন করেছিলেন। তিনি আজ যে জায়গা করে নিয়েছেন তার সম্পূর্ণ নিজের সামর্থ্য দিয়ে। মোদি খুব অল্প বয়সেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে যোগ দেন এবং এই সংগঠনের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেন। তিনি একজন প্রচারক হয়েছিলেন এবং আরএসএস-এর সেবায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণ করেছিলেন। মোদি এবং নেহেরু দুজনেরই (Modi VS Nehru) শৈশব ও কৈশোরকাল যথেষ্ট ভিন্ন। 

আরও পড়ুন 👉 Plan for Middle Class: সুদিন আসছে মধ্যবিত্তদের, তৃতীয়বার শপথ গ্রহণ করেই নয়া পরিকল্পনা নেবে মোদি সরকার

নেহেরু ছিলেন উদারপন্থী কিন্তু বিপরীতে মোদি ছিলেন হিন্দুত্বে কট্টর বিশ্বাসী। হিন্দুত্বের নীতি আরএসএসের মূল ভিত্তি। হিন্দুত্ব হল ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রধান রূপ। মোদি সঙ্ঘের একজন অনুগত সৈনিক হিসেবে কাজ করেছেন এবং তার কঠোর পরিশ্রম অবশেষে ফল দিয়েছে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য তাকে আরএসএস মনোনীত করা হয়েছিল। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে, তিনি অর্থনীতি এবং প্রশাসন উভয় ক্ষেত্রেই অনেক পরিবর্তন আনেন এবং ভারতের লোকেরা তাকে লক্ষ্য করতে শুরু করে।

রতন টাটা এবং মুকেশ আম্বানির মতো বিশিষ্ট শিল্পপতিরা তাকে সমর্থন করতে শুরু করেন। পরবর্তীকালে, গোয়াতে বিজেপির ২০১৩ কনক্লেভে, মোদি লাল কৃষাণ আদবাণীকে হারান এবং আগামী ২০১৪ সালে বিজেপির নেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর সিংহাসন জয়লাভ করেন। তাই মোদি এবং নেহেরু উভয়ে (Modi VS Nehru) নিজের মতো করে তাদের শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করার চেষ্টা করেছেন।