Health Tips: যখন তখন পায়ে ঝিঁঝি ধরে যায়! রইল রেহাই পাওয়ার উপায়

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

There are useful health tips to avoid getting pins and needles feet: ঝিঁঝি ধরা শব্দটির সাথে আমরা সকলেই কম বেশি পরিচিত। শিশু থেকে বয়স্ক প্রত্যেকেরই ঝিঝি ধরার সমস্যা রয়েছে। কখনো না কখনো সকলকেই সম্মুখীন হতে হয়েছে এই সমস্যার। অনেকক্ষণ একভাবে বসে থাকলে, পায়ে বা হাতে অনেকক্ষণ একভাবে চাপ পড়লে সেই অংশে ঝিঁঝি ধরে যায়। হাত-পা অবশ হয়ে আসে। ফলে কোন কাজ করতে বা নড়াচড়া করতে অসুবিধা হয়। ঝিঁঝি ধরার এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবার কয়েকটি উপায় (Health Tips) রইল আজকের প্রতিবেদনে।

Advertisements

আমরা যেটাকে ঝিঁঝি ধরা বলে থাকি ডাক্তারী ভাষায় তার নাম টেম্পোরারি প্যারাসথেসিয়া। আচমকা হাত বা পায়ের যেকোনো নির্দিষ্ট অংশ অসাড় হয়ে যায় এবং সেই অংশে অদ্ভুত একটি অনুভূতি হয়। মনে হতে পারে কোন পিন বা সুই দিয়ে সে অংশটিকে খোঁচানো হচ্ছে। এই অনুভূতি স্থায়িত্ব কিন্তু ক্ষণিকের। কিছু সময় অস্বস্তির মধ্যে কাটানোর পর নির্দিষ্ট অংশের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে ধীরে ধীরে। সুই ফোটানোর মতো অনুভূতি হয় বলে ঝিঁঝি ধারাকে পিনস এন্ড নিডেলস বলেও চিহ্নিত করা হয়।

Advertisements

অনেকক্ষণ একভাবে কিছু করলে আমাদের শরীরে যে শিরা উপশিরাগুলি রয়েছে সেগুলিতে চাপ পড়ে। এই চাপের প্রভাবে আমাদের শরীরের রক্ত প্রবাহ একপ্রকার বন্ধ হয়ে যায়। কিছু সময় পর শরীরের নির্দিষ্ট আংশ চাপমুক্ত হলে, আবার রক্ত প্রবাহ শুরু হয়। কিন্তু হঠাৎ করে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং আবার হঠাৎ করে তা চালু হওয়া, ব্রেন সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারে না সে ক্ষেত্রে পিন ফোটানোর মতন এই অনুভূতি হয় শরীরে। মাঝে মাঝে শরীরে এই অস্বস্তি হলে তা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়, কিন্তু যদি ঘন ঘন কারো এই সমস্যা হয় তবে তা কিন্তু কোন রোগের লক্ষণও হতে পারে। ডায়াবেটিস পেশেন্টদের এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। খুব বেশি পরিমাণে ঝিঁঝি ধরা শুরু হলে, একটা সময় পর ডাইবেটিস ফুটের সমস্যায় ভুগতে থাকেন বহুরোগী।

Advertisements

হঠাৎ করে হাতে বা পায়ে ঝিঁঝি ধরলে তা থেকে বাঁচার সাময়িক কিছু উপায় (Health Tips) রইল আজকের প্রতিবেদনে।
1. সাধারণত যেহেতু দীর্ঘক্ষণ একই জায়গার উপর চাপ সৃষ্টি হয় বলে ঝিঁঝি ধরে, তাই সবার আগে ঝিঁঝি অনুভূত হলে যে অংশে চাপ সৃষ্টি হচ্ছিল সেই অংশকে চাপমুক্ত করতে হবে। আপনি দীর্ঘক্ষণ একভাবে বসে থাকার ফলে যদি ঝিঁঝি ধরে থাকে, তাহলে বসার ভঙ্গিমা পরিবর্তন করুন। স্নায়ু গুলোকে চাপমুক্ত করুন।

2. ঝিঁঝি ধরলে আমরা নড়াচড়া করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি। কিন্তু তারপরও নাড়া চড়া করাই এই সমস্যা থেকে মুক্তির অন্যতম উপায় (Health Tips)। যদি পায় ঝিঁঝি ধরে থাকে, তাহলে হাঁটাচলা করার চেষ্টা করুন ধীরে ধীরে এই অনুভূতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

3. হঠাৎ করে হাঁটাচলা করতে না পারলে পায়ের নাড়াচাড়া করুন। পায়ের আঙ্গুলগুলি উপর নিচে নাড়ালে রক্ত প্রবাহ দ্রুত গতিতে হয়। ফলে সমস্যা থেকে উপকৃতও হতে পারেন দ্রুত গতিতে (Health Tips)।

4. হাতের কোন অংশে ঝিঁঝি ধরে থাকলে হাত মুষ্টিবদ্ধ করুন এবং আবার খুলুন। এইভাবে ক্রমাগত হাতটাকে নাড়ানোর চেষ্টা করুন। কিছু সময় পর স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে আসবে হাতের অবস্থা।

আরও পড়ুন ? Viral News: প্রেম করে ছাড়াছাড়ি! প্রেমিকাকে পয়সা ফুটানোর লিস্ট ধরালো প্রেমিক

5. হাতে ঝিঁঝি ধরার সমস্যা অনেক সময় ঘাড়ের স্নায়ু থেকেও হয়। তাই হাতে ঝিঁঝি ধরলে মাথা এক পাশ থেকে আর একপাশে ঘুরিয়ে দেখতে পারেন। খুব ধীরগতিতে এই কাজ করতে হয় কিন্তু কাজটি করার কিছু সময়ের মধ্যে আরাম অনুভূত হয়।

হাতে পায়ে বা শরীরের অন্যান অংশে ঝিঁঝি ধরলে সাময়িকভাবে রেহাই পাবার জন্য আমরা উপরিউক্ত পদ্ধতিগুলি (Health Tips) অবলম্বন করতে পারি। তাতে সাময়িক আরাম পাওয়া যাবে। কিন্তু কারো যদি এই সমস্যা প্রতিনিয়ত হতে থাকে, তা কিন্তু একেবারেই স্বাভাবিক নয়। কোন না কোন রোগের লক্ষণ হিসেবে ধরা দিচ্ছে এই অস্বস্তি বোধ। কারো যদি ঝিঁঝি ধরার এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, সেটিও খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়। এই সমস্ত ক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Advertisements