Karnataka School: ফাঁকি কী জিনিস ভুলে যাবেন শিক্ষকরা! এই রাজ্যে চালু হল নতুন নিয়ম

The live location of the teachers will tell their location; New system launched: শিক্ষকদের প্রধান কাজ হল আগামী ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষার্থীদের তৈরি করে দেওয়া। তাদের দ্বারাই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরও উন্নত হবে। কিন্তু যদি শিক্ষকদের শিক্ষা দেওয়াতেই গাফিলতি থাকে তাহলে শিক্ষার্থীরা কোনদিন সঠিক পাঠ শিখবে না। অনেক শিক্ষক এমন আছে যারা দেরি করে স্কুলে আসে এমনকি সময়ের আগেও স্কুল থেকে চলে যায়। বহু অভিযোগ জমা করে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার ফাঁকিবাজ শিক্ষকদের শায়েস্তা করার জন্য চালু করল নতুন নিয়ম। স্কুলে (Karnataka School) শিক্ষকদের লাইভ লোকেশন এখন থেকে জানাতে হবে ব্লক শিক্ষা কর্তার হোয়াটসঅ্যাপে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে তারা স্কুল এর সময় কোথায় রয়েছে।

বর্তমানে কর্নাটকে ক্ষমতা এসেছে কংগ্রেস সরকার। তারপর থেকে এই শিক্ষা ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য তারা যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছে। চলতি বছরের গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বিভিন্ন শিক্ষাবিদদের সাথে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকের সবথেকে প্রধান উদ্দেশ্য হল কর্নাটকের শিক্ষা ব্যবস্থাকে গেরুয়া মুক্ত করা। এর পাশাপাশি শিক্ষকদের দায়িত্ববোধ ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করা। তাই স্কুলগুলোতে নতুন নিয়ম চালু করেছে কংগ্রেস সরকার (Karnataka School)।

সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে যে, হোয়াটসঅ্যাপ দ্বারা ব্লক শিক্ষা কর্তার কাছে শিক্ষকদের লাইভ লোকেশন জানানো নতুন নিয়ম আনতে চলেছে এই সরকার। জানা গেছে যে, সরকারের এই নতুন নিয়ম নিজের ব্লকে চালু করেছে কর্ণাটকের গুলবার্গা ব্লকের শিক্ষা কর্তা। তার অধীনে যে ২০৭টি স্কুল (Karnataka School) আছে তাতে ওই নিয়ম চালু হয়। সরকার যদিও নিয়মটি এখনো বাধ্যতামূলক করেনি, তবুও প্রস্তাবটি যথেষ্ট পছন্দ হয় সরকারের। কর্নাটকের শিক্ষা দপ্তর গোটা রাজ্যের এই ব্যবস্থা চালু করার কথা চিন্তা ভাবনা করছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, কংগ্রেসের নতুন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবার থেকে দেশের জাতীয় সঙ্গীত এবং কর্নাটকের নিজস্ব প্রার্থনা সঙ্গীত গাওয়ার পর সংবিধানের প্রস্তাবনার মূল অংশ পাঠ করতে হবে ক্লাস শুরু হবার আগে। সেই সময় স্কুলে (Karnataka School) প্রত্যেক শিক্ষাকে উপস্থিত থাকতে হবে।

স্কুলে শিক্ষকদের উপস্থিতি বাঞ্ছনীয় করার জন্যই লাইভ লোকেশন এর ব্যবস্থার কথা চিন্তা ভাবনা করছে কংগ্রেস সরকার। এছাড়া বিজেপি সরকারের আমলে অনলাইনে হাজির দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছিল। কিন্তু সেই পদ্ধতিতেও ‘ফাঁকিবাজ’ শিক্ষকদের শায়েস্তা করা যায়নি বলেই অভিযোগ। তাই পরিস্থিতিতে নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে সরকারকে।