Kolkata-Bangkok highway will be opened over several countries: যেকোনো দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা অর্থাৎ সড়কপথ হল সেই দেশের উন্নতির পরিচয়। দেশ যত উন্নত হবে যোগাযোগ ব্যবস্থাও তত উন্নত হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। বর্তমানে বিভিন্ন দেশেই বহু সড়ক পথ নির্মাণ হয়েছে যা দেশটির যোগাযোগ ব্যবস্থা বাণিজ্য এবং অর্থনীতিকে উন্নত করতে সাহায্য করেছে। ভারতেও ইতিমধ্যে নির্মাণ হয়েছে বহু সড়ক পথ। তবে সবগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কলকাতা-ব্যাংকক হাইওয়ে (Kolkata-Bangkok highway) প্রকল্প। যা আগামী চার বছরের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
খুব শীঘ্রই ভারত এবং থাইল্যান্ডের (Thailand) রাজধানী ব্যাংককের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য মেগা সড়ক প্রকল্প চালু হতে চলেছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী চার বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে কলকাতা-ব্যাংকক হাইওয়ে (Kolkata-Bangkok highway) প্রকল্প। এই মেগা সড়ক পথ ছুঁয়ে যাবে একাধিক দেশকে। এই সড়কপথ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিবহণ ও বাণিজ্যে যুগান্তকারী বিপ্লব এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যোগাযোগ ব্যবস্থা এহেন উন্নতি যেন হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে সমগ্র বিশ্বকে।
কলকাতা-ব্যাংকক হাইওয়ে (Kolkata-Bangkok highway) এর ফলে ভারতের সাথে থাইল্যান্ডের শুধুমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে তাই নয়, অর্থনৈতিক দিক থেকেও দুটো দেশ হবে সমৃদ্ধশালী। আশা করা যাচ্ছে যে, এই সড়ক পথের ফলে আন্তর্জাতিক পর্যটকরা লাভবান হবে এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও শক্তিশালী হবে দুটো দেশ। তাই বিভিন্ন দিক বিচার করতে গেলে এই হাইওয়ের গুরুত্ব অপরিসীম।
কলকাতা-ব্যাংকক হাইওয়ে (Kolkata-Bangkok highway) প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো, থাইল্যান্ড এর ব্যাংকককে ভারতের কলকাতার সাথে যুক্ত করে বিভিন্ন দেশের সাথে একটি সড়ক নেটওয়ার্ক তৈরি করা, যা ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে, আগামী চার বছরের মধ্যেই জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হবে এই সড়কপথ।
শোনা যাচ্ছে যে, এই সড়ক প্রকল্পের ভারতের অংশের কাজ ইতিমধ্যে অনেকটাই শেষের পথে। আশ্চর্য যে, থাইল্যান্ডের অংশের সম্পূর্ণ সড়ক পথের কাজটি শেষ হয়ে গেছে। এখন শুধু কাজ চলছে মায়ানমারের অংশের। অনুমান করা হচ্ছে যে, এই মহাসড়ক ব্যাংকক থেকে শুরু হয়ে মায়ানমারের মধ্য দিয়ে উত্তর পূর্ব ভারত হয়ে শিলিগুড়ি ছুঁয়ে শেষ হবে কলকাতায়। এই মহাসড়ক পথের দৈর্ঘ্য হল আড়াই হাজার কিলোমিটার।