সেলুন-মদের দোকান নয়, কি কি খোলা যাবে স্পষ্ট করলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের পাশাপাশি ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে চলায় তা ঠেকাতে ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। তবে দীর্ঘদিনের এই লকডাউনের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন দেশের আর্থিক পরিস্থিতি, দিন দিন দুরাবস্থার দিকে এগোচ্ছে দুঃস্থ দরিদ্র মানুষেরা। যে কারণে লকডাউনের মাঝেই বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা করে কেন্দ্র সরকার।

লকডাউনের মাঝে এর আগেও ছাড় দেওয়া হয়েছে, আবার নতুন করে শুক্রবার রাতে বেশ কিছু ছাড়ার কথা ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যে ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার সকাল থেকে অত্যাবশ্যকীয় দোকান ছাড়াও অন্যান্য বেশ কিছু দোকান খোলার ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত পাওয়া যায়। কিন্তু কোন কোন দোকান খোলা যাবে, আর কি খোলা যাবে না তা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়, আর সেই ধোঁয়াশাকে দূর করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয় কি কি খোলা যাবে আর কি বলা যাবে না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব শনিবার স্পষ্ট করে জানান, সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে কেবলমাত্র সামগ্রী বিক্রির দোকান খোলার ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্র। এই নির্দেশিকায় সেলুন খোলার ক্ষেত্রে কোনরকম সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি এখন বন্ধ থাকবে মদের দোকানও। এছাড়াও বন্ধ থাকবে শপিং মল।

শুক্রবার রাতে নির্দেশিকা অনুসারে কোন কোন দোকান খোলা যাবে?

শপস অ্যান্ড এস্ট্যাবলিশমেন্ট অ্যাক্টের আওতায় রেজিস্টারড থাকা দোকানগুলি বাজার ও রেসিডেন্সিয়াল এলাকায় খুলতে পারবে। অবশ্যই এই সকল দোকান সামগ্রী বিক্রির দোকান হতে হবে। পাশাপাশি পৌরসভা এলাকার বাইরের সামগ্রী বিক্রির দোকানও খোলা যাবে।

পাড়ার মাঝে থাকা সামগ্রী বিক্রির দোকান খোলা যাবে। এছাড়াও গ্রাম্য এলাকায় যে সকল দোকান রেজিস্ট্রেশন হয়েছে সে সকল দোকান খোলা যাবে।

সামগ্রী বিক্রির দোকান ছাড়াও খোলা যাবে দর্জির দোকান।

দোকান খোলার ক্ষেত্রে যে সকল নিয়ম মেনে চলতে হবে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুসারে নতুন করে বেশ কিছু দোকান খোলার ক্ষেত্রে ছাড় মিললেও বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে দোকানের মালিকদের। দোকানের জিনিসপত্র বিক্রয় অথবা অন্যান্য ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পাশাপাশি দোকানের ৫০% কর্মীদের নিয়ে কাজ চালাতে হবে। দোকানের মালিক ও দোকানের কর্মচারীদের সবসময়ই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। দোকানে আসা খরিদ্দারদের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি নজরে রাখতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন যে সময় নির্ধারণ করে দিবে সেই সময়েই দোকান খুলতে হবে।

এখনো পর্যন্ত কোন কোন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকছে

আর্থিক সংকট মেটাতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় মিললেও এখনো পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে শপিং মল, সিনেমা হল, মাল্টি কমপ্লেক্স বা সুপারমার্কেটের দোকানগুলি খোলার ক্ষেত্রে।

লকডাউন জারি থাকাকালীন কোনভাবেই মদের দোকান খোলা যাবে না। পাশাপাশি বন্ধ থাকবে বার।

জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, সুইমিং পুল, থিয়েটার, অডিটোরিয়াম বন্ধ থাকবে।

ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে কেবলমাত্র অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্র ডেলিভারির অনুমোদন রয়েছে। অন্যান্য সামগ্রী বিক্রির ক্ষেত্রে থাকছে নিষেধাজ্ঞা।

বন্ধ থাকবে সমস্ত রেস্টুরেন্ট। বন্ধ থাকবে সমস্ত সেলুন।

আর বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, রেড জোন এলাকায় কোনরকম দোকান খোলার অনুমতি নেই।