There will be improvement in the transport infrastructure of the states by PM E-bus Seva Scheme: পরিবেশ দূষণ কম করতে এবং পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানোর লক্ষ্যে এবার কেন্দ্র। খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে পিএম ই-বাস পরিষেবা প্রকল্প (PM E-bus Seva Scheme)। গত বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের অধীনে ১৬৯ টি শহরে নামানো হবে মোট ১০ হাজার ইলেকট্রিক বাস। যার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মোট ৫৭,৬১৩ কোটি টাকা। যার মধ্যে কেন্দ্র সরকার দেবে ২০ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার।
খবর রয়েছে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এক প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে এই খবর প্রকাশ্যে আনেন। তিনি জানান পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অর্থাৎ পিপিপি মডেলে চালানো শুরু হবে এই বাস। এই প্রকল্পের মেয়াদ স্থির করা হয়েছে ২০৩৭ সাল পর্যন্ত। মূলত দক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করাই হলো এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। এই স্কিমের (PM E-bus Seva Scheme) জন্য ব্যয় হবে প্রায় ১৩০০০ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা।
মূলত যেসব এলাকায় বা যেসব শহরগুলিতে তিন লাখের বেশি জনসংখ্যা রয়েছে এবং যেখানে বাস পরিষেবার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সেইসব শহরগুলিতেই এই ইলেকট্রিক বাস চালানোর অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ফলস্বরূপ, এই প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবহণ ব্যবস্থার যেমন উন্নতি ঘটবে তার পাশাপাশি সাধারণ মানুষও বেশ উপকৃত হবেন। শুধু তাই নয়, বায়ু দূষণ কমানোর ক্ষেত্রেও এই প্রকল্পের চিন্তাভাবনা পরিবেশের জন্য বেশ ভালো।
এই বাস চালু করলে আর্থিক উন্নতিও হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। অন্যদিকে এই বাস পরিষেবা চালু হলে পরিবহন পরিষেবা যেমন উন্নত হবে পাশাপাশি অনেক মানুষের কাজের জায়গাও তৈরি হবে। এই ই-বাস (PM E-bus Seva Scheme) পরিসেবার মাধ্যমে কয়েক হাজার চাকরি তৈরি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে অনেক মানুষই কাজের সুযোগ পাবে।
তবে এখানেই শেষ নয়, রয়েছে আরও একটি খবর। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের নেতৃত্বে আরো একটি প্রকল্প শুরু হতে চলেছে যার নাম বিশ্বকর্মা যোজনা। বিশেষত, ঐতিহ্যবাহী কারু শিল্পে নিযুক্ত ব্যক্তিদের জীবিকার সুযোগকে শক্তিশালী করাই হলো এই স্কিমের মূল লক্ষ্য। তবে এই স্কিমের মাধ্যমে উপকৃত হবে রাজমিস্ত্রি, ছুতোর প্রভৃতি অনগ্রসর শ্রেণীর ব্যক্তিরা। এছাড়াও মন্ত্রিসভায় মোট সাতটি নতুন রেল প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। যা ৩২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ। তবে অশ্বিনী বৈষ্ণবের এই বিশ্বকর্মা যোজনা উদ্বোধন করার কথা রয়েছে, ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজোর দিন।