These 3 powerful people can go to any country in the world without passport-visa: পূর্বে বিশ্বের যেকোন প্রান্তে পৌঁছাতে কোনো সমস্যা হতো না। কিন্তু বর্তমানে পাসপোর্ট-ভিসা (Passport-Visa) ছাড়া পৌঁছানো যায় না এক দেশ থেকে অন্য দেশে। আজকের নয়, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই শুরু হয় এই পাসপোর্ট ব্যবস্থা। যা ১৯২০ সালে ব্যবহারের জন্য কার্যকর করা হয়। রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী কাউকেই বিনা পাসপোর্টে বিদেশ ভ্রমণ করতে দেওয়া হয় না। রাখতে হয় কূটনৈতিক পাসপোর্ট। তবে সারা বিশ্বে ৩ জন মানুষকে পাসপোর্ট ব্যবহার করতে হয় না। তাঁরা পাসপোর্ট ছাড়াই নির্দ্বিদায় যে কোনো প্রান্তে পৌঁছে যান।
এমনকি বিনা পাসপোর্ট ছাড়া তাঁরা বিদেশ ভ্রমণে গেলে তাদের পাসপোর্ট সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসাবাদ না করে উপরন্ত তাঁদের পূর্ণ সম্মানে সম্মানিত করা হয়। জানেন সেই তিন ব্যক্তির নাম? তাদের বিনা পাসপোর্ট-ভিসায় (Passport-Visa) ভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ানোর নেপথ্যে কি কারণ রয়েছে? জেনে নিন সেই উত্তর। ভবিষ্যতে কোনো পরীক্ষা বা ইন্টারভিউয়ে কাজে লাগতে পারে।
প্রসঙ্গত, বিদেশ ভ্রমণের অফিসিয়াল পরিচয় পত্রের মধ্যে অন্যতম হলো পাসপোর্ট-ভিসা। যেটা না থাকলে বিদেশ ভ্রমণ তো দূর, বিদেশ ভ্রমণের আগেই যাতায়াত পরিবহনে ব্যক্তিকে আটকে দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রায় সব দেশই পাসপোর্ট ইস্যু করে। পাসপোর্ট এমন একটি অফিসিয়াল পরিচয়পত্র যেখানে ব্যক্তির নাম, ঠিকানা, নাগরিকত্ব, স্বাক্ষর, ছবি, বয়স সমস্ত কিছু বিবরণ দেওয়া থাকে। যার ফলে তিনি যে দেশে যাচ্ছেন সহজেই সেই ব্যক্তির সম্পর্কে সেই দেশের তথ্য কালেক্ট করা সহজ হয়ে ওঠে।
সাধারণ মানুষ থেকে ভি আই পি সকলেরই বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট-ভিসার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এমন ৩ জন ব্যক্তি রয়েছে যাদের বিরাট ক্ষমতায় এই পাসপোর্ট-ভিসার কোনো দরকার লাগেনা। সেই তিন ব্যক্তি হলেন ব্রিটেনের রাজা, জাপানের সম্রাট এবং সম্রাজ্ঞী। কিভাবে এই ক্ষমতা পেলেন তাঁরা?
আরও পড়ুন ? Passport: এবার আরও সহজে মিলবে পাসপোর্ট! খরচ পড়বে মাত্র এত টাকা
বর্তমানে ব্রিটেনের রাজা চার্লস। তবে তাঁর আগে বিনা পাসপোর্টে (Passport-Visa) ভ্রমণের সুবিধা পেতেন তাঁর মা প্রয়াত রানী এলিজাবেথ। তবে রানী এলিজাবেথ এই সুবিধা পেলেও স্বামী প্রিন্স ফিলিপ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। তাঁকে কূটনৈতিক পাসপোর্ট রাখতে হতো। তিনি ছিলেন ব্রিটেনের রাজপুত্র। রানীর মৃত্যুর পরে ব্রিটেনের রাজা হন চার্লস। রাষ্ট্র আসন গ্রহণ করার পরেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিতে সেই দেশের সচিব দ্বারা ব্রিটেনের বর্তমান রাজার বার্তা পাঠানো হয়। পাশাপাশি রাষ্ট্রগুলিতে জানানো হয় বর্তমানে তিনিই রাজপরিবারের প্রধান, তাই বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে তাঁকে বিনা বাঁধায় পূর্ণ সম্মানের সাথে যেন যেতে দেওয়া হয়। সেই হিসেবে ব্রিটেন রাজার এই সুবিধা থাকলেও সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাজার স্ত্রী। অন্য দেশে ভ্রমণের জন্য তাঁর স্ত্রীকে রাখতে হয় কনস্যুলার পাসপোর্ট। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও কূটনৈতিক পাসপোর্ট রাখতে হয়।
অপরদিকে, জাপানের বর্তমান রাজা নারুহিতো এবং রানী অর্থাৎ তাঁর স্ত্রী মাসাকো ওয়াতা। তবে পূর্বে জাপানের রাজা ছিলেন আকিহিতো। পিতা আকিহিতো ২০১৯ সাল পর্যন্ত জাপানের সম্রাট ছিলেন। ফলেই তিনি এবং তাঁর স্ত্রী বিনা পাসপোর্ট-ভিসায় বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে পূর্ণ সম্মানের সাথে ভ্রমণ করতেন। তবে বর্তমানে অবসরের পর তাদের পাসপোর্ট রাখতে হয়। তবে এই অবসরের পর সেই জায়গা গ্রহণ করে সন্তান নারুহিতো এবং তাঁর স্ত্রী মাসাকো ওয়াতা। জাপানের নথিপত্র অনুযায়ী, ১৯৭১ সাল থেকে এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা হয়। সেই অনুসারেই পিতার অবসরের পর জাপানের সম্রাট এবং সম্রাজ্ঞী নারুহিত এবং মাসাকো ওয়াতা এই বিশেষ সুবিধা গ্রহণ করেন। ফলস্বরূপ ব্রিটেন রাজা এবং জাপানের সম্রাট ও সম্রাজ্ঞীর বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়ে আগাম তথ্য জানায় জাপানের বিদেশ মন্ত্রক এবং ব্রিটেনের রাজার সচিবালয়। যাতে তাঁদের ভ্রমণে কোনো বাধা সৃষ্টি না হয়