নিজস্ব প্রতিবেদন : গত ২২ মার্চ ২০২৪ সালের আইপিএল শুরু হওয়ার পর একের পর এক ম্যাচ শেষে এখন ফাইনাল ম্যাচের (IPL 2024 Final) পালা। রবিবার যে ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (KKR vs SRH)। পয়েন্ট টেবিলের দিকে তাকালে কলকাতা নাইট রাইডার্স এগিয়ে থাকলেও এদিনের এই ম্যাচ থেকে ট্রফি জয় কলকাতার জন্য এতটা সহজ নয়। পিছনে রয়েছে ৬ ফ্যাক্টর।
১) চেন্নাইয়ের যে স্টেডিয়ামে সোমবার ফাইনাল খেলার আয়োজন হবে অর্থাৎ এম চিদম্বরম স্টেডিয়াম, সেখানে নতুন পিচে খেলা হচ্ছে প্লে অফের ম্যাচগুলি। এখানেই নতুন পিচে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যে কারণে তাদের এখানকার পিচ সম্পর্কে কিছুটা হলেও কলকাতার থেকে অভিজ্ঞতা বেশি রয়েছে। এছাড়াও এখানকার এই স্টেডিয়াম সম্পর্কে অনেক বেশি সরগরম হায়দ্রাবাদ।
২) দ্বিতীয় একটি বড় ফ্যাক্টর হতে পারেন অধিনায়ক। কেননা সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অধিনায়ক হিসাবে যিনি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অর্থাৎ কামিন্সের বড় ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি অভিজ্ঞ। বহু ক্ষেত্রেই বড় ম্যাচের চাপ সামলে তাকে একের পর এক জয় এনে দিতে দেখা গিয়েছে। সেই জায়গায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক শ্রেয়সকে টেক্কা দিতে পারেন তিনি।
৩) ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে জয় পেতে হলে সবচেয়ে আগে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল হায়দ্রাবাদের দুই ওপেনার ট্র্যাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মাকে তাড়াতাড়ি সাজ ঘরে পাঠাতে হবে। তাদের দুজনকে তাড়াতাড়ি সাজঘরে না পাঠাতে পারলে কিন্তু কপালে বিপদ আছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের। কেননা বীভৎস ফর্মে রয়েছেন অভিষেক, অন্যদিকে বড় ম্যাচে কিভাবে খেলতে হয় সেই অভিজ্ঞতা রয়েছে হেডের।
৪) চ্যাম্পিয়ন হতে হলে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে স্পিনারদের ওপর। এক্ষেত্রে যদি সুনীল নারিন অথবা বরুণ চক্রবর্তী ব্যর্থ হন তাহলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে কলকাতার সামনে বড় বিপত্তি তৈরি হতে পারে। আবার হায়দ্রাবাদের এনরিখ ক্লাসেন এবং এডেন মার্করাম স্পিনারদের সামলাতে যথেষ্ট অভ্যস্ত। সেক্ষেত্রে এই দুজন বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেন।
আরও পড়ুন ? Homemade Thar: গাড়ি কেনার টাকা নেই! শখ পূরণে নিজেই বানিয়ে নিলেন মিনি থার
৫) চিপকে ফাইনাল ম্যাচের সব থেকে বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে টস। কেননা এই ম্যাচে টসে জিতলেও প্রথমে ব্যাটিং না বোলিং দলকে সুবিধা দেবে তা নিয়ে এখনো সংশয় রয়েছে। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনাররা পিচ থেকে বেশি সুবিধা পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কেকেআরের টসে জেতা অত্যন্ত জরুরী এবং প্রথমে ব্যাটিং নেওয়া চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আবার যদি শিশির পরে তাহলে স্পিনারদের কাছে বল গ্রিপ করা ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে।
৬) সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ যেভাবে এলিমিনেটর ম্যাচে নিজেদের তুলে ধরেছে তা কলকাতার কাছে অত্যন্ত চিন্তার। হায়দ্রাবাদের ফিল্ডারদের দারুণ ভাবে নিজেদের খেলা দেখাতে দেখা গিয়েছে। তাদের হাত দিয়েই অনেক রান সেভ হয়েছে। যে কারণে কেকেআরের ব্যাটারদের কোনরকম ভুল শর্ট খেললে হবে না।