নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেল হল ভারতের নাগরিকদের কাছে গণপরিবহনের মেরুদন্ড। প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ ট্রেনের উপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করেন। যে কারণে রেল পরিষেবাকে গণপরিবহনের মেরুদন্ড বলা হয়ে থাকে।
আগেকার দিনে এই ট্রেন থেকে বহু মানুষ ফ্যান, বাল্ব ইত্যাদি চুরি করে নিয়ে যেতেন। ট্রেন জাতীয় সম্পত্তি হওয়ার কারণে এখান থেকে কোন কিছু চুরি করার অর্থ হলো জাতীয় সম্পত্তি চুরি করা। এই জাতীয় সম্পত্তি চুরি করার অপরাধে কেউ ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি গ্রহণ করা হয়। জাতীয় সম্পত্তি চুরি করার অপরাধে দোষী প্রমাণিত হলে সাত বছরের কারাদণ্ড হয়।
তবে এসব সত্ত্বেও ক্রমবর্ধমান ট্রেনের ফ্যান, আলো ইত্যাদি চুরির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এই সকল ক্ষেত্রে এমন প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে, যা রীতিমত অবাক করা। এই প্রযুক্তির ফলে ট্রেনের ফ্যান, আলো ইত্যাদি চুরি করে নিয়ে গেলেও তা কাজ করবে না বাড়িতে।
সাধারণত বাড়িতে দুই ধরনের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। প্রথম হলো এসি অর্থাৎ অল্টারনেটিভ কারেন্ট এবং দ্বিতীয় হলো ডিসি অর্থাৎ ডাইরেক্ট কারেন্ট। এসির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৪০ ভোল্ট থাকে এবং ডিসির ক্ষেত্রে থাকে সর্বোচ্চ ২৪ ভোল্ট। অন্যদিকে ট্রেনে যে ফ্যানগুলি লাগানো থাকে সেগুলি চলে ১১০ ভোল্টে। যে কারণে এই ফ্যানগুলি বাড়িতে লাগানো হলে চলবে না।
রেলের এই প্রযুক্তির ফলে ট্রেন থেকে কোন ফ্যান যদি চুরি করে নিয়ে আসা হয় তাহলে তা বাড়িতে লাগালেও অকেজো। তবে মনে রাখতে হবে, জাতীয় সম্পত্তি হওয়ার কারণে ট্রেন থেকে কোন কিছু চুরি করা হলে তার বিরুদ্ধে ৩৮০ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। দোষী প্রমাণিত হলে ওই ব্যক্তির সাত বছরের কারাদণ্ড অথবা জরিমানা, আবার একসঙ্গে দুটিই হতে পারে।