নিজস্ব প্রতিবেদন : শেষ কবে এমন গরম পড়েছিল তা অধিকাংশ মানুষেরাই মনে করতে পারছেন না। মনে করতে পারবেনই বা কি করে, কেননা এপ্রিল মাসে এমন গরম পড়েছিল ৭০ বছর আগে। ৭০ বছর আগে এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার ৪৪ বছর আগে ১৯৮০ সালে এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪১.৭ ডিগ্রিতে।
স্বাভাবিকভাবেই কলকাতার বাসিন্দারা বছরের পর বছর ধরে এমন তাপমাত্রা দেখেননি। তবে এবার এই তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে খুব তাড়াতাড়ি রেহাই মিলবে বলেই হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে। কেননা আর চারটে দিন এইভাবে কাটাতে হবে আর তারপরেই দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় ঝেঁপে আসবে বৃষ্টি (Rainfall Alert in South Bengal)। কোন কোন জেলায় কবে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে তা মঙ্গলবার হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে ধীরে ধীরে দক্ষিণবঙ্গের পরিমণ্ডলে জলীয়বাষ্পের আগমন ঘটতে শুরু করেছে। আর জলীয়বাষ্পের আগমন ঘটার ফলেই বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি যতদিন না পর্যন্ত হচ্ছে ততদিন দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার তাপমাত্রা এই ভাবেই অসহ্য পরিস্থিতি তৈরি করবে। আবার বৃষ্টি হলেও যেভাবে তাপমাত্রার পারদ বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে দুম করে খুব বেশি তাপমাত্রার পারদ নামবে না।
আরও পড়ুন ? Heatwave Records: এত গরমেও রেকর্ড ভাঙতে পারল না কলকাতা! অটুট থাকল তিলোত্তমার এই রেকর্ড
আগামী ৫ মে অর্থাৎ রবিবার দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। যে সকল জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে সেই সকল জেলাগুলি হল মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদীয়া, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। ঐদিন দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলি শুষ্ক থাকবে বলেই হাওয়া অফিসের তরফ থেকে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
রবিবার দক্ষিণবঙ্গের হাতে গোনা কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি হলেও সেই বৃষ্টির পরিমাণও কম থাকবে। তবে সোমবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলা অর্থাৎ ১৫ জেলা মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, নদিয়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ঐদিন মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।