Five Beach Destinations: খরচ হবে নামমাত্র, এক-দুদিনের ছুটিতে কলকাতা থেকে টুক করে ঘুরে আসা যাবে এই ৫ সমুদ্রসৈকত

Prosun Kanti Das

Published on:

These Five beach Destinations can be visited by Kolkata on a two-day holiday: বর্ষা প্রায় চলে এসেছে। এই সময়টা সমুদ্রে ঘুরতে যেতে ভালোবাসেন অনেকেই। বর্ষায় সমুদ্রের উত্তাল রূপ অনেকেরই খুব পছন্দের। তাই অফ সিজেন হলেও সমুদ্র সৈকতগুলিতে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে বর্ষার সময়ও। কিন্তু এবার আর কোন চেনা ঠিকানা নয়, ঘুরে আসা যাক কোন নতুন জায়গা থেকে। একটু পর্যটকদের ভিড় এড়িয়ে ২-১ দিনের জন্য ছুটি কাটাতে যেতে চাইলে এই ৫ টি সমুদ্র সৈকত (Five Beach Destinations) এক্কেবারে সেরা ঠিকানা। আজকের প্রতিবেদনে এমন ৫ টি অফ বিট সমুদ্র সৈকতের বর্ণনা রইল। যেখানে পর্যটকদের ভিড় একটু কম থাকলেও জায়গাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর।

1. লাল কাঁকড়ার বীচ

মন্দারমনি তো আমাদের খুব পরিচিত হয়ে গেছে। এবার যাওয়া যাক মন্দারমনি থেকে একটু দূরে লাল কাঁকড়া বিচে। মন্দারমনি থেকে কিছুটা এগোলেই পড়বে পুরুষোত্তম গ্রাম। এই গ্রামেই রয়েছে লাল কাঁকড়া বিচ। অফ বিট ডেস্টিনেশন হিসেবে এই জায়গাটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও, এখনো পর্যন্ত শুধুমাত্র ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আসা পর্যটকদের ভিড় জমে ওঠেনি এই এলাকায়। সারা বিচ জুড়ে রয়েছে শুধুই লাল কাঁকড়া। লাল কাঁকড়া এখানকার মূল আকর্ষণ ঠিকই, তবে এখানকার সূর্যাস্ত কিন্তু দেখার মতন। কলকাতা বা হাওড়া থেকে দীঘা গামী যে কোন ট্রেনে উঠে নেমে পড়তে হবে চাউলখোলা স্টেশনে। সেখান থেকে টোটো বা অটোতে করে পৌঁছে যেতে পারেন পুরুষোত্তম গ্রামের লাল কাঁকড়া বিচে। থাকার জায়গা অনেকগুলোই রয়েছে তবে আগে থেকে বুকিং করে গেলে আপনাদেরই সুবিধা হবে।

2. ডুবলাগিরি

আরেকটি অফ বিট ডেস্টিনেশন ডুবলাগিরি। বর্ষায় সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণের সেরা ৫ টি (Five Beach Destinations) ঠিকানার মধ্যে অন্যতম এই জায়গাটি। এই সমুদ্র সৈকতকে অনেকে বাগদা সৈকত বলেও চিহ্নিত করে থাকেন। সম্পূর্ণ বিচটা ঘেরা রয়েছে নির্জন ঝাউবনে। পাখির ডাক আর তার সাথে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য। খাবার হিসেবে পেয়ে যাবেন টাটকা মাছ ভাজা। আর থাকার জায়গা? সুযোগ রয়েছে ক্যাম্পিংয়েরও। যাতায়াতও খুবই সোজা। হাওড়া থেকে ট্রেনে করে বালেশ্বর নামতে হবে। সেখান থেকে গাড়িতে করে ডুবলাগিরি পৌঁছে যাওয়া যায়। চাইলে কলকাতা থেকে সরাসরি ডুবলাগিরি অব্দি যেতে পারেন গাড়ি করে। সেক্ষেত্রে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা সময় লাগতে পারে।

3. যমুনাসল

ডুবলাগিরি ছাড়াও আরো ১ টি অফবিট ডেস্টিনেশন রয়েছে উড়িষ্যাতে। যার নাম যমুনাসল। এখানকার সমুদ্রের উথাল পাথাল ঢেউয়ের গর্জন আপনাকে ১ অন্য দুনিয়ায় নিয়ে যাবে নিমেষেই। নিরিবিলি পরিবেশ আর সমুদ্রের গর্জন ১ মনোমুগ্ধকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। রাতের মনোরম আমেজ পাওয়ার জন্য রয়েছে ক্যাম্পিংয়ের ব্যবস্থা। আপনি নিজের খাবার নিজে তৈরি করে নিতে চাইলে, সে ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। চাইলে মাছও ধরতে পারেন সমুদ্র থেকে। তবে মাছ ধরার আগে অভিজ্ঞ কোন স্থানীয় ব্যক্তির সাথে ভালোভাবে কথা বলে সবটা জেনে নেওয়া উচিত। হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে করে পৌঁছে যেতে পারেন বাস্তার স্টেশন অব্দি। সেখান থেকে ৩১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই পৌঁছে যাবেন যমুনাসল সমুদ্র সৈকতে।

আরও পড়ুন 👉 Tourist place Near Kolkata: হাতে সময় কম! টুক করে একদিনের ছুটিতেই ঘুরে আসা যাবে কলকাতার কাছেই থাকা এই টুরিস্ট প্লেস

4. বগুড়ান জলপাই

এই সৈকতটি একেবারেই অজানা পর্যটকদের কাছে। এখনো পর্যন্ত পর্যটকদের ভিড় তো দূরের কথা সেইভাবে পরিচিতিও পায়নি পর্যটক মহলে। চারিদিকে ঝাউ বনে ঘেরা ছোট্ট ১ টি দ্বীপ। একটু এগোলেই বিশাল সমুদ্র সৈকত নিস্তব্ধে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। এখানকার সমুদ্র এমনিতে শান্তই বলা চলে। তবে পূর্ণিমা অমাবশ্যার সময় এখানকার দৃশ্য দেখার মতন হয়। এখানেও বেশকিছু লাল কাঁকড়ার দেখা মেলে কিন্তু পর্যটকদের অসাবধানতার কারণে সমুদ্র সৈকতটি নোংরা হচ্ছে ফলে কমে যাচ্ছে লাল কাঁকড়ার পরিমাণ। সম্পূর্ণ সমুদ্র সৈকতটি একেবারে শান্ত আর নিরিবিলি হইচই থেকে দূরে কিছুটা সময় কাটাতে চাইলে ৫ টি সেরা ঠিকানার (Five Beach Destinations) মধ্যে অন্যতম এই সমুদ্র সৈকতটিও। কলকাতা থেকে সরাসরি গাড়ি করে চলে যেতে পারেন অথবা কাঁথি দীঘা বাস স্টপ থেকে টোটো বা অটো করে পৌঁছে যেতে পারেন এই সমুদ্র সৈকতটিতে। কিন্তু এখানে থাকার জায়গার খুবই অভাব। তাই আগে থেকে বুকিং করে তবেই যাওয়া ভালো।

5. লালগঞ্জ সমুদ্র সৈকত

বর্ষায় সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যেতে চাইলে সেরা ৫ টি ঠিকানার (Five Beach Destinations) মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ঠিকানা হলো লালগঞ্জ সমুদ্র সৈকত। নামখানা থেকে একটু এগোলেই পড়বে এই সমুদ্র সৈকতটি। যে সমস্ত পর্যটকরা হঠাৎ করেই প্ল্যান করেন আর ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন তাদের জন্য এটি একদম সেরা ঠিকানা। কলকাতা থেকে এই সৈকতটির দূরত্ব মাত্র ১২০ কিলোমিটার। আপনি চাইলেই গাড়ি করে সরাসরি পৌঁছে যেতে পারবেন এই সমুদ্র সৈকতে। নামখানা স্টেশন থেকে টোটো ধরেও যেতে পারেন এই সৈকত অবধি।