নিজস্ব প্রতিবেদন : গণপরিবহনের মেরুদন্ড হিসেবে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিদিন দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনের ওপর নির্ভর করে যাতায়াত করে থাকেন। রেলের গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেলের তরফ থেকেও যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ এবং আরও উন্নতমানের পরিষেবার প্রদান করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এই সকল পরিকল্পনার মধ্যে দেশের রেলস্টেশনগুলিকে সাজিয়ে তোলার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় দেশজুড়ে ১২৭৫টি স্টেশন সাজানোর রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের শতাধিক স্টেশন এই প্রকল্পের আওতায় সাজানো হবে। এই সকল স্টেশনের মধ্যেই ৪টি স্টেশন সাজানো হবে বিমানবন্দরের ধাঁচে।
বিমানবন্দরের ধাঁচে রেলস্টেশনগুলিকে সাজিয়ে তোলার পর তা যাত্রীদের কাছে একেবারেই নতুন স্টেশন হিসেবে সামনে আসবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এই সকল স্টেশন সুসজ্জিত করা হবে মূলত যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখেই। গড়ে তোলা হবে বিশাল, সুসজ্জিত ওয়েটিং লাউঞ্জ, স্পষ্ট সাইন এবং ডিজিটাল ডিসপ্লে সহ রিফ্রেশমেন্ট জোন। ২০২৬ সালের মধ্যে এই সকল স্টেশন সাজিয়ে তোলার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে রেল সূত্রে।
যে চারটি স্টেশন বিমানবন্দরের ধাঁচে সাজিয়ে তোলার বন্দোবস্ত করা হবে সেই চারটি স্টেশন হলো হাওড়া, কলকাতা, ব্যান্ডেল এবং আসানসোল। এছাড়াও শিয়ালদার মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনও রয়েছে এই তালিকায়। এই সকল স্টেশনগুলিতে আলাদা করে থাকবে প্রবেশ এবং বাহির পথ। লাউঞ্জ, রুফটপ প্লাজা এবং বিমানবন্দরের মতোই প্রবেশের জায়গার বন্দোবস্ত করা হবে।
হাওড়া স্টেশন দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন এবং এখানে প্রতিদিন ১০ লক্ষের কম বেশি যাত্রীরা যাতায়াত করে থাকেন। এই বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে হাওড়া স্টেশনে বিমানবন্দরের মতোই ওয়াক্যালেটর, লিফট এবং এসকেলেটরের মাধ্যমে আগমন এবং প্রস্থানের পথ আলাদা করা হবে। সেখানে বাসের জন্য আলাদা জায়গা করা হবে এবং ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্যাক্সি এবং অটোরিকশার জন্য যাত্রীদের নামানো এবং উঠানোর জন্য আলাদা বন্দোবস্ত করা হবে। স্টেশনে হেঁটে ঢোকা এবং হেঁটে বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রেও আলাদা ব্যবস্থা করা হবে।