নিজস্ব প্রতিবেদন : ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এবার ওষুধ মিলবে বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে সব ধরনের ওষুধ না হলেও ১৬ রকমের ওষুধের ক্ষেত্রে এমন ছাড় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে এই সকল ওষুধ ওষুধের দোকান ছাড়াও শপিং মল, স্টেশনারি সহ বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করা যাবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ওভার দ্য কাউন্টার সেল হিসাবে এই ১৬ ধরনের ওষুধ ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রি হবে এবং বিক্রি হবে শপিং মল, স্টেশনারি ইত্যাদি দোকানে। কোন কোন ওষুধের ক্ষেত্রে এমন ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র?
এমন ছাড় দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তালিকায় যেসকল ওষুধ রয়েছে সেগুলি হল, প্যারাসিটামল ৫০০। এছাড়াও রয়েছে ফেরিডামিন জাতীয় চুলকানির ওষুধ, আবার কাশি কমানোর ডেক্সট্রমেথফোর্ন হাইড্রব্রোমাইড ওষুধ। ফেরিডামিন বোলতা, ভীমরুল বা কীটপতঙ্গ কামড়ালেও চিকিৎসকেরা প্রেসক্রাইব করে থাকেন।
এর পাশাপাশি এই তালিকায় উল্লেখ রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে প্রচলিত ক্যালামাইন লোশন, অ্যালার্জি কমাতে ডাইফেনহাইড্রেমাইন ২৫ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে ল্যাকটুলোজ সলিউশন ১০ মিলিগ্রাম অথবা সর্দিতে নাক বন্ধ হলে জাইলোমেটাজোলাইন হাইড্রোক্লোরাইড ০.০৫ শতাংশ। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে আরও বেশ কিছু ওষুধ।
এই সকল ওষুধ চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এবং ওষুধের দোকান ছাড়াও বিক্রির বিষয়ে কেন্দ্রের এই নির্দেশিকা ঘিরে দ্বিধাবিভক্ত চিকিৎসক মহল। চিকিৎসক মহলের একাংশের দাবি করছেন, এর ফলে চটজলদি ওষুধ পাবেন অনেকে। আবার একাংশ মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে ওষুধ নেশায় পরিণত হবে না এই গ্যারান্টি কে দেবে?
তবে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ কেনা অথবা বিক্রির ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। যেমন, ওষুধের প্যাকেটের সঙ্গে পেশেন্ট ইনফরমেশন লিফলেট জুড়ে দিতে হবে। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। এমআরপির থেকে বেশি দাম নেওয়া যাবে না। রোগীকে পাঁচ দিনের বেশি ওষুধ দেওয়া যাবে না। পাঁচদিনের ক্ষেত্রে রোগ থেকে গেলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।