নিজস্ব প্রতিবেদন : গভীর নিম্নচাপের কারণে টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা হতে দেখা গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গকে। গভীর নিম্নচাপের বৃষ্টির পাশাপাশি বিভিন্ন জলাধার থেকে লক্ষ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার ফলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। এখনো দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা রয়েছে যে সকল জায়গা থেকে জল নামার কোন নামগন্ধ নেই। আর এসবের ফলে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল, শাকসবজি সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
গভীর নিম্নচাপের তিন দিনের বৃষ্টি আর ডিভিসি, পাঞ্চেত, মাইথন সহ বিভিন্ন জলাধার থেকে লক্ষ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার ফলে জলে থৈ থৈ অবস্থা বীরভূম, বর্ধমান, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। এই সকল এলাকার মধ্যে কোন কোন জায়গা থেকে এখন সামান্য জল নামলেও অধিকাংশ জায়গাতেই কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ। আর এই পরিস্থিতির প্রভাব কাঁচা শাকসবজিতে পড়বে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
দামোদর নদ সংলগ্ন যে সকল জায়গা রয়েছে অর্থাৎ ধনিয়াখালি, তারকেশ্বর, জাঙ্গিপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় এখন বরবটি থেকে শুরু করে ফুলকপি সহ বিভিন্ন ধরনের শাক সবজির চাষ করা হয়ে থাকে। কিন্তু অতি বৃষ্টি আর জলাধার থেকে বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ার কারণে ওই সকল শাক সবজির জমি নিয়েছে শেষ হয়ে গিয়েছে। আর এর ফলে পাইকারি বাজারে কৃষকদের শাক সবজি সরবরাহ করার ক্ষেত্রে অন্ততপক্ষে ২-৩ মাস অসুবিধায় পড়তে হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : Vegetables Selling Bill: কাঁচা শাকসবজি বিক্রি করলেও দিতে হবে রশিদ, জারি হয়ে গেল নয়া নির্দেশিকা
এমনিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই ধরনের ঘটনায় কৃষকদের ফসলের ওপর ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য বাংলা শস্য বীমা প্রকল্প চালু করেছে। যে প্রকল্প অনুসারে যাদের ফসল এখন নষ্ট হয়ে গিয়েছে তারা ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাবেন। কিন্তু ক্ষতিপূরণ পেলে কি হবে, যদি পাইকারি বাজারে ওই কৃষকরা এই সকল ফসল সরবরাহ করতে না পারেন তাহলে সাধারণ মানুষদের তো অনেক বেশি টাকা দিয়ে শাকসবজি কিনতে হবে।
হঠাৎ প্লাবনের কারণে কৃষকরা পাইকারি বাজারে যে সকল শাকসবজি সাপ্লাই দিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে সেই সকল শাকসবজি হলো বরবটি, ফুলকপি, বেগুন, শসা ইত্যাদি। কারণ দক্ষিণবঙ্গের যে সকল এলাকাগুলি এখন হঠাৎ প্লাবনের কারণে জলমগ্ন সেই সকল এলাকায় এই ধরনের শাক সবজির চাষ সবচেয়ে বেশি। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দুই তিন মাস এই সকল শাক সবজির দাম বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।